ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

মিশা-জায়েদের বয়কটে সরব শিল্পীরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০৬ পিএম, ২০ জুলাই ২০২০ সোমবার | আপডেট: ০৯:২৫ পিএম, ২০ জুলাই ২০২০ সোমবার

ফের উত্তাল হয়ে ওঠেছে চলচ্চিত্রাঙ্গন। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয় চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮টি সংগঠন। বিষয়টি নিয়ে চলচ্চিত্রপাড়ায় উত্তাল অবস্থা বিরাজ করছে। চলচ্চিত্র শিল্প ও শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষায় শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানকে বয়কটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি।

করোনার এমন সময়ে যেখানে কোনো কর্ম নেই সেই সময়ে এসব কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলেছেন সিনিয়র শিল্পীরা। তারা বয়কটের প্রতিবাদে এফডিসিতে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। রোববার বিকেলে এফডিসির জহির রায়হান মিলনায়তনের প্রদর্শন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। এ সময় মিশা-জায়েদ খানের বয়কটের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের কথা বলেন শিল্পী সমিতির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন, অভিনেতা-প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজল, অঞ্জনা, রুবেল, মিশা সওদাগর, জায়েদ খান, মারুফ আকিব, জয় চৌধুরী, মাসুম বাবুলসহ অনেকে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন নায়ক রুবেল।

একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, যেখানে মানুষ কাজ করতে পারছে না, উপার্জন করতে পারছে না। সেই জায়গায় যদি এমন দলাদলি কোনোভাবেই কাম্য নয়। যদি কিছু হয়ে থাকে সবাই মিলে বসে সমাধান করি। সিনিয়ররা মিলে সবকিছু ঠিক করে দেই। এ সময় শিল্পীদের সহযোগিতায় ১ লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণা ও দেন ইলিয়াস কাঞ্চন

চিত্রনায়িকা অঞ্জনা বলেন, মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানকে অন্যায়ভাবে বয়কট করলে আমরা কেউই শিল্পী সমিতিতে থাকবো না। এসব আন্দোলন ভুলে আসুন আমরা একসঙ্গে ভালো কাজ করি। তালিকা থেকে যাদের বাদ দেয়া হয়েছে আমরা তাদের কাজের যাচাই-বাছাই করে আবার ফিরিয়ে নেবো।

চলচ্চিত্র অভিনেতা-প্রযোজক ডিপজল বলেন, ডিপজল বেঁচে থাকতে শিল্পী সমিতির ক্ষতি করবে এমন কারও বাংলাদেশ জন্ম হয়নি। আমি ডিপজল যতদিন বেঁচে আছি চলচ্চিত্রের কেউ না খেয়ে মরবে না। আমি সব সময় চলচ্চিত্রর পাশে ছিলাম, আছি। আসুন সব ভেদাভেদ ভুলে চলচ্চিত্রর কল্যাণে চিন্তা করি। 

মিশা সওদাগর বলেন, আমাদের শিল্পী সমিতির মূল কাজ শিল্পীদের স্বার্থ সংরক্ষণ। আমরা কোনো রকম দলাদলি, হিংস্রতা, বিদ্বেষ চাই না। আমরা চাই চলচ্চিত্রের উন্নয়ন। জায়েদের যদি কোনো অন্যায় থাকে, আমাদের লিখিত আকারে দিতেন। আমরা নিজেরা বসে সমস্যার সমাধান করতাম।

জায়েদ খান বলেন, এখানে অন্য কাউকে নয়, আমাদের দুজনকে (মিশা-জায়েদ) ছোট করা হচ্ছে। শিল্পীকে কেউ এ ভাবে বয়কট করতে পারেন না। কেন চলচ্চিত্র অঙ্গনকে তারা একটি সার্কাসে পরিণত করছেন। আমি কী এমন করেছি, যে কারণে আমাকে হেয় করা হচ্ছে।

এসইউএ/এসি