কলারোয়ায় গ্রাম পুলিশের পিটুনিতে এক ব্যক্তির মৃত্যু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:২২ পিএম, ২১ জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় দুই গ্রাম পুলিশের পিটুনিতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কলারোয়া হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ব্যক্তি কলারোয়া উপজেলার হিজলদীর ফকির পাড়া এলাকার জোহর আলীর ছেলে গোলাম কুদ্দুস শেখ (৪৫)।
নিহতের কন্যা মনোয়ারা খাতুন ছেলে আবুল কালাম জানান, হিজলদী এলাকার একমহিলা বিবাহ ছাড়াই তার দেবর সাথে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি,তার পিতার মস্তিস্ক বিকৃত হওয়ায় তার পিতা ওই মহিলাকে বলত তোমরা আর পাপ কাজ করোনা। এ নিয়ে ওই মহিলা বিরক্ত হয়ে চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে চেয়ারম্যানের নির্দেশে গত ১৭ জুলাই শুক্রবার চৌকিদার দিলিপ কুমার ও অশোক তাদের বাড়িতে গিয়ে কুদ্দুসকে ধরে বেধড়ক মারপিট করে। এমনকি তাকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যেতেও বাঁধা দেয় তারা। মঙ্গলবার সকালে পিতার অবস্থা খারাপ দেখে কলারোয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে ডাক্তার তার পিতাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
এঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এবিষয়ে চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। চৌকিদার কখন আর কিভাবে তার বাড়ীতে গেছেন এবং কেন মেরেছেন তা তিনি অবগত নন। তিনি করোনাকালিন সময়ে অসুস্থ ছিলেন এবং বাড়ীতে চিকিৎসাধীন ছিলেন এমনকি তার ব্যবহৃত ফোনও বন্ধ ছিলেন। মঙ্গলবার একটু সুস্থ হয়ে উপজেলা পরিষদের মাসিক মিটিং এ আসছেন। তিনি সকালে লোক মুখে শুনেছেন যে তার ইউনিয়নের গোলাম কুদ্দুস মারা গেছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে নিয়ে অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মনির উল গিয়াস বলেন, বিষয়টি অবগত হয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে থানায় ডাকা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেআই/