ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

চূড়ান্ত হচ্ছে শ্রীলঙ্কা সফরের সূচি!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫৩ পিএম, ২১ জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:৫৮ পিএম, ২১ জুলাই ২০২০ মঙ্গলবার

মোমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম

মোমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম

চলমান মহামারী করোনার কারণে এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আগামী বছর পর্যন্ত পিছিয়েছে। স্থগিত হয়েছে অনেকগুলো দ্বিপাক্ষিক সিরিজও। স্থগিতাদেশের স্রোতে ভেসে গেছে বাংলাদেশের অনেকগুলো ম্যাচ। এহেন পরিস্থিতির কারণে নিকট ভবিষ্যতে ঘরের মাঠে কোনো সিরিজ আয়োজনের সম্ভাবনাও নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দৃষ্টি তাই এখন অ্যাওয়ে সিরিজগুলোতে।

চলতি বছরে শ্রীলঙ্কার মাটিতে তিনটি টেস্ট খেলার কথা ছিল টাইগারদের। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে যা চলতি মাসে মাঠে গড়াতো। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সফরটি স্থগিত করা হয়। এছাড়া আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মাটিতে আইরিশদের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। করোনার কারণে মে মাসের নির্ধারিত এই সফরও স্থগিতাদেশ পায়।

তবে অতি সম্প্রতি এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়ায় যে গ্যাপ সৃষ্টি হয়েছে, তা এখন বিদেশ সফর দিয়ে পূর্ণ করতে চায় বিসিবি।

এ বিষয়ে ক্রিকবাজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘আমাদের জন্য এখন চ্যালেঞ্জ হল দ্রুত ক্রিকেটে ফেরা এবং স্থগিত হওয়া আন্তর্জাতিক সিরিজগুলো যত দ্রুত সম্ভব আয়োজন করা। আমাদের দেশে করোনা পরিস্থিতি যেহেতু নাজুক, তাই আমরা অ্যাওয়ে সিরিজগুলোতে নজর রাখছি। শ্রীলঙ্কা সফরের নতুন সূচি যত দ্রুত সম্ভব চূড়ান্ত করার চেষ্টা চলছে। তাহলে হয়ত আমরা ক্রিকেটে ফিরতে পারব।’

তবে শুধু শ্রীলঙ্কা সফরই নয়। আবহাওয়া পক্ষে থাকলে, অর্থাৎ বৃষ্টি-বাদল বাঁধ না সাধলে আয়ারল্যান্ড সফরেও যেতে চায় বাংলাদেশ। এ বিষয়ে নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘যদি আয়ারল্যান্ডের আবহাওয়া পক্ষে থাকে, তাহলে হয়ত আমরা আয়ারল্যান্ডেও যাব। এই পরিস্থিতিতে আমরা এভাবেই পরিকল্পনা করছি।’

এদিকে, গত ১৯ জুলাই থেকে মিরপুরে ৪ জনসহ দেশের চারটি বিভাগীয় স্টেডিয়ামে মোট নয় জনের অনুশীলনের মাধ্যমে দেশের মাটিতে শুরু হয়েছে উন্মুক্ত অনুশীলন। আজ মঙ্গলবার সে তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও দুজন। ধীরে ধীরে হয়তো বাকিরাও এ অনুশীলনে যোগ দিবে। অর্থাৎ আসন্ন সিরিজের জন্য তৈরী হচ্ছেন ক্রিকেটাররা।

এনএস/