ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রাপ্তি নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:২৩ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২০ বৃহস্পতিবার

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা বলেছেন, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ন্যায্য ও সাশ্রয়ী প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি ও সংহতির প্রয়োজন।

ভ্যাকসিন যেসব দেশে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেখানে এর সাশ্রয়ী ও নায্য বন্টন নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি এ কথা বলেন। এক্ষেত্রে একটি ন্যায্যতাভিত্তিক নীতিমালা প্রণয়নেরও আহ্বান জানান তিনি।

নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় গতকাল “কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের গবেষণা, উন্নয়ন, সরবরাহ এবং এর সমতাভিত্তিক বন্টন কাঠামো” শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় রাষ্ট্রদূত ফাতিমা এসব কথা বলেন। 

ইভেন্টটি যৌথভাবে আয়োজন করেন যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ ও জাতিসংঘ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ এবং ইউনাইটেড ন্যাশন্স ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ও সিইও রাষ্ট্রদূত এলিজাবেথ কাউসেনস।

বিভিন্ন দেশে কোভিড ভ্যাকসিন তৈরিতে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের অগ্রগতিসমূহকে খুবই উৎসাহব্যঞ্জক আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে ‘গ্লোবাল পাবলিক গুড’ হিসেবে পরিণত করতে নি:সন্দেহে সুদৃঢ় বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি ও সহযোগিতা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য ভ্যাকসিনসমূহের সার্বজনীন প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়ে ব্রিফ করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকা, ভ্যাকসিন ও বায়োলজিক্যালসের পরিচালক কেট ও ব্রায়েন এবং গ্যাভী (এধার) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ম্যারি-অ্যাঞ্জে সারাকা-ইয়াও।

রাবাব ফাতিমা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি সবাইকে আবারও জোড়ালোভাবে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, বিশ্বের সকলে এক অপরের সাথে সংযুক্ত। তাই বৈশ্বিক এই স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একতাবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, “আমরা যদি পুন:সংক্রমণ রোধ করতে চাই, তাহলে প্রস্তুতি, প্রতিরোধ ও পুনরুদ্ধার বিষয়ে আমাদেরকে একসাথে এবং কার্যকর বৈশ্বিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।”

গতমাসে যুক্তরাজ্য আয়োজিত একটি ভার্চুয়াল ভ্যাকসিন সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রদত্ত উদাহরণ টেনে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্যাভী, এবং অন্যান্য বেসরকারি অংশীদারের গৃহীত পদক্ষেপের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

সভায় বলা হয়, ২০২১ সালের শেষ অবধি বিশ্বব্যাপী প্রায় ২ বিলিয়ন ভ্যাকসিন ডোজের প্রয়োজন হবে। ব্রিটিশ সরকার বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সমতাভিত্তিক বন্টন বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহের জন্য বন্টন নিশ্চিত করার কথা জানান যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ ও জাতিসংঘ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী লর্ড তারিক আহমেদ। তাঁর সরকার ইতোমধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিষয়ে ৭৬০ মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ করেছে বলে তিনি জানান।

জাতিসংঘ সদস্য দেশসমূহের স্থায়ী প্রতিনিধি, অন্যান্য কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি এবং বেসরকারি ও সিভিল সোসাইটি সংস্থার বিপুল সংখ্যক প্রতিনিধি এ ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। 
সূত্র: বাসস

এএইচ/এমবি