ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

করোনায় থমকে গেছে আর্ট গ্যালারিগুলো (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৪৯ পিএম, ২৫ জুলাই ২০২০ শনিবার

সামনে এসেছে নতুন বাস্তবতা। যাপিত জীবনের পরতে পরতে বিরাজমান মহামারীর প্রাদুর্ভাব। আর এমন বাস্তবতায় অনেক কিছুর মতোই বদলে গেছে সংস্কৃতিচর্চার চিত্র। কোন মিলনায়তনে বসে এখন আর গান শোনার সুযোগ নেই। নৃত্যশিল্পী নূপুরের নিক্কন তোলা সরাসরি নৃত্য পরিবেশনাও উপভোগের উপায় নেই। থমকে গেছে নাটকের মঞ্চায়ন। গ্যালারিগুলোর মেঝে বা দেয়াল দেখা মিলছে না কোন চিত্রকর্ম কিংবা ভাস্কর্য। সেই বাস্তবতায় পাল্টে গেছে চিরচেনা সংস্কৃতিচর্চা।

মহামারী এ ভাইরাসের ছোবল পড়েছে দেশের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে, যার প্রভাবমুক্ত হতে পারেনি চিত্র প্রদর্শনীর গ্যালারিগুলোও। নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেয়া হয় বিভিন্ন প্রদর্শনী। সেই সঙ্গে বন্ধ রাখা হয়েছে গ্যালারিগুলোও। করোনায় থমকে গেছে রাজধানীর বড় বড় আর্ট গ্যালারি। দীর্ঘ ৪ মাস ধরে কোনো আয়োজন না থাকায় চেনা গ্যালারিগুলো একেবারেই বিবর্ণ। প্রদর্শনী করতে না পারায় বন্ধ হয়ে গেছে শিল্পীদের আয়। এ অবস্থায় বিকল্প উপায় খুঁজছেন শিল্পীরা।

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকাতেই আছে এরকম, ১০ থেকে ১২ টি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। প্রতি সপ্তাহেই শিল্পপ্রেমীদের জন্য প্রদর্শনী থাকলেও এখন একেবারেই ফাঁকা।  

শাহবাগ, সেগুনবাগিচা আর গুলশানের মিলনায়তনগুলোর চিত্রও একইরকম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের কার্যক্রমও স্থবির। তালাবন্ধ জয়নুল গ্যালারিও। প্রদর্শনী বন্ধ তাই শিল্পীদের আয়ও বন্ধ হয়েছে। এ অবস্থায় শিল্প চর্চা চালিয়ে নিতে বিকল্প ভাবছেন তারা। 

অঁলিয়াস ফ্রঁসেজ, রাশান কালচারাল সেন্টার কিংবা জার্মান কালচারাল সেন্টার সবগুলোরই একই অবস্থা। প্রদর্শনীসহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক আয়োজন নেই। শর্টফিল্মের প্রদর্শনী নেই মিলনায়তনগুলোতেও। করোনার কারণে স্বাভাবিক নেই জীবনযাত্রা। ফলে স্বাচ্ছন্দ্যে ফটোগ্রাফিও করা যাচ্ছে না। কাজ করতে না পারায় ভাঙতে হচ্ছে সঞ্চয়। তবুও করোনার আঁধার কাটবে, নতুন সূর্যের আলোচ্ছটা পড়বে প্রদর্শনীর ছবির ওপর- এই অপেক্ষায় দিন কাটছে চিত্র ও আলোকচিত্র শিল্পীদের।

একজন শিল্পীর কাজই হলো যেকোনো কিছুর মধ্যে নতুন কিছুর সন্ধান করা। এই মহামারীর কারণে মানুষ বৈশ্বিক অর্থনীতি, বিশ্বায়ন, স্থানিক বাস্তবতা, যোগাযোগ, পরিবহন সবকিছু নিয়ে এক ধরনের নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছে। নতুন এই অভিজ্ঞতাকে শিল্পচর্চার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার ভাবনাও কাজ করছে শিল্পীমনে। কারণ অনেকেই মনে করছেন, তাদের ভাবার জন্য একটি বড় ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। যেগুলো নিয়ে পরবর্তীতে অনেক কাজ হতে পারে।

আবার অনেক শিল্পীই প্রদর্শনীর স্পেস হিসেবে বেছে নিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে। ফেসবুককে ব্যবহার করছেন আর্ট স্পেস হিসেবে। যেসব শিল্পী ফেসবুককেন্দ্রিক এই প্রদর্শনী বন্ধ রেখেছিলেন, তারাও যেন নতুন করে আবার শুরু করেছেন। এ সময়ে কমিউনিটিকে কীভাবে আর্টের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যায়, তা নিয়েও চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা। তবে সময়েই হয়তো বাতলে দেবে সঠিক পথ। অপেক্ষাই যেন এখন ভরসা শিল্পী ও গ্যালারি পরিচালকদের।

বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে :

এসএ/