ঢাকা, শনিবার   ০৪ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২১ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধা হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টু আর নেই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৫ এএম, ২৭ জুলাই ২০২০ সোমবার

হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টু

হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টু

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, আওয়ামী লীগ নেতা হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টু (৬৭) আর নেই। 

রোববার বিকেল ৪ টায় রাজধানী ঢাকার উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরে নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী এক ছেলে এক মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন।

বাদ এশা নামাজে জানাজা এবং পরবর্তীতে উত্তরা ১৪ নং সেক্টরের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়া হয়। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। 

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা আন্দোলনের সময় থেকে সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। 

হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টু স্বাধীনতার সময় সন্দ্বীপ ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তী সময়ে (১৯৭৩-৭৪) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সন্দ্বীপ থানার সভাপতি ( ১৯৭৫-৭৬) যুবলীগের আহ্বায়ক, ১৯৯২ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক, ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে চট্টগ্রাম-৩ সন্দ্বীপ আসনের জন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।  

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সন্দ্বীপের  সাংস্কৃতিক, ক্রীড়াঙ্গনে তিনি ছিলেন একজন দক্ষ সংগঠক। একাধারে তিনি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও নাট্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি সন্দ্বীপের আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। 

এছাড়া তিনি সন্দ্বীপ সমিতির ঢাকা উপদেষ্টা ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সন্দ্বীপ ফ্রেন্ডস সার্কেল অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য ছিলেন।

১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে  তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তিনি সন্দ্বীপ থানা আক্রমণ সহ একাধিক অপারেশ নের মধ্য দিয়ে সন্দ্বীপকে হানাদার মুক্ত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।

তার মৃত্যুতে সন্দ্বীপের সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার শাহজাহান বি.এ. শিক্ষাবিদ ও সমাজ সেবক অধ্যক্ষ ড. সালেহা কাদের সহ অসংখ্য সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন তার মৃত্যুতে শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

তার মৃত্যুতে বিভিন্ন সংগঠনের শোক প্রকাশ করেছেন সন্দ্বীপ ফ্রেন্ডস সার্কেল অ্যাসোসিয়েশন, সন্দ্বীপ সমিতি ঢাকা, সন্দ্বীপ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম ঢাকা। 

তার মৃত্যুর পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সকলের প্রিয় এই মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে তার সুবিশাল রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে স্মৃতিচারণ করে আবেগঘন স্ট্যাটাসে দেন। 

উল্লেখ্য, হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টু সন্দ্বীপ উপজেলার সন্দ্বীপ টাউনের হরিশপুরে ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ক্যাপ্টেন সেকান্দর হোসেন, মাতা মোমেনা খাতুন।। তার চলাফেরা রুচিশীলতার জন্য তিনি সন্দ্বীপে রাজপুত্র হিসেবে খ্যাত ছিলেন। তার অভিনীত নাটক ,আবৃত্তি, একজন অনলবর্ষী বক্তা ছিলেন।

এমবি//