ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

স্রেফ মায়ের কথায় সম্পর্কচ্ছেদ করেন গোবিন্দ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:০৩ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২০ সোমবার

গোবিন্দ প্রথম নীলমকে দেখেছিলেন প্রযোজক প্রাণলাল মেটার অফিসে। প্রথম দেখাতেই নীলমের প্রেমে পড়ে যান তিনি। পরে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, হ্রস্ব সাদা পোশাকে নীলমকে তাঁর পরির মতো মনে হয়েছিল।

পরে গোবিন্দ-নীলম জুটির বেশ কিছু সুপারহিট সিনেমা দর্শকদের মন জয় করেছে। কিন্তু তাঁদের রোমান্স পর্দার বাইরে অসম্পূর্ণ থেকে যায়। গোবিন্দ নীলমকে পাননি। 

সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা গোবিন্দ ইন্ডাস্ট্রিতে একটু একটু করে জায়গা করে নেন কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে। কেরিয়ারের প্রথম দিকে নায়িকাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে তাঁর খুব সমস্যা হত।

নায়িকার সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে গোবিন্দর আড়ষ্টভাব পরিচালকদের পছন্দ হত না। সে সময় তাঁর ভাই গোবিন্দকে পরামর্শ দেন। বলেন, তিনি যেন বাস্তব জীবনেও প্রেম করেন। বান্ধবীর সঙ্গে সময় কাটালে তিনি নায়িকাদের সঙ্গেও সহজ হতে পারবেন। 

সে রকম এক সময়ে সুনীতা আসেন গোবিন্দর জীবনে। প্রথমে সম্পর্ক ছিল নিছক বন্ধুত্ব থাকলেও এক সময় সুনীতার কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ হন গোবিন্দ। তখনও অবশ্য তিনি সুপারস্টার হননি। সুনীতার সান্নিধ্য তাঁর ব্যক্তিত্বে পরিবর্তন এনেছিল। পর্দায় নায়িকাদের সঙ্গে সহজ হতে পেরেছিলেন তিনি। পরে স্বীকার করেছিলেন গোবিন্দ। কিন্তু তারকা হয়ে যাওয়ার পরে জীবনের সমীকরণ পাল্টে যায় অনেকটাই।

একদিকে নীলম, অন্যদিকে সুনীতা। গোবিন্দ সম্পর্কের দোটানায় পড়ে যান। একসঙ্গে বেশ কিছু ছবি করার সূত্রে নীলমের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ক্রমে গাঢ় হয়। 
গোবিন্দর পরিবারে নীলমের আসা যাওয়া ছিল। গোবিন্দর বাবা-ও নীলমকে পছন্দ করতেন। কিন্তু গোবিন্দর মা বেঁকে বসেন। তিনি ছেলেকে স্পষ্ট বলেন, সুনীতার কাছে করা প্রতিশ্রুতি তাঁকে রক্ষা করতেই হবে।

কিন্তু তখন সুনীতাকে বিয়ে করার ইচ্ছে গোবিন্দর ছিল না। তিনি তখন নীলমের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। তাঁর মা বলেন, বিয়ে করলে তাঁকে সুনীতাকেই করতে হবে। মায়ের আদেশ অমান্য করতে পারেননি গোবিন্দ। শেষ অবধি নীলম আর গোবিন্দর বিয়ে হল না। 

গোবিন্দর সঙ্গে সব সম্পর্ক ভেঙে দিয়ে নীলম মন দেন শুধুমাত্র নিজের কেরিয়ারে। ২০১১ সালে নীলম বিয়ে করেন অভিনেতা সমীর সোনিকে। ‘হম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ে দু’জনের আলাপ হয়েছিল। বিয়ের দু’ বছর পরে সমীর ও নীলম একটি কন্যাসন্তান দত্তক নেন। মেয়ের নাম তাঁরা রেখেছেন ‘অহনা’। সংসার সামলানোর পাশাপাশি নীলম এখন প্রতিষ্ঠিত জুয়েলারি ডিজাইনার।

গোবিন্দর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নীলম কোনওদিন মুখ খোলেননি। তবে গোবিন্দ তাঁদের প্রেম নিয়ে বহুবার বলেছেন। তাঁর কথায়, ধনী পরিবারের মেয়ে নীলমের সঙ্গে তাঁর মানসিকতা ও সামাজিক অবস্থানের বহু পার্থক্য ছিল। কিন্তু সে সব তাঁদের সম্পর্কে ছায়া ফেলেনি।

ভবিষ্যতের জন্য নীলমকে সবসময়েই শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছেন তাঁর প্রাক্তন প্রণয়ী চিচি। কিন্তু নীলম সবসময়েই গোবিন্দর প্রসঙ্গে নীরবতা বজায় রেখেছেন। তৃতীয় মুখ হয়ে কোনওদিন আসতে চাননি গোবিন্দ-সুনীতার দাম্পত্যেও।

এসইউএ/এসি