ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

বিস্ফোরণের ঘটনায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই : কৃষ্ণপদ রায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৫০ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২০ বুধবার

পুলিশের অভিযানে তিনজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে পল্লবী থানায় নিয়ে আসার পর তাদের সঙ্গে থাকা একটি ওয়েট মেশিনের মতো ডিভাইস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণে পুলিশের চার সদস্যসহ মোট ৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত হবে। 

বুধবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর মিরপুরে পল্লবী থানা ভবন পরিদর্শন করে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় এ তথ্য জানান।

কৃষ্ণপদ রায় বলেন, রাজধানীর পল্লবী থানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই।

ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, পল্লবী থানা পুলিশ ও মিরপুরের ডিবির নেতৃত্বে একটা টিম কাজ করছিল কয়েকদিন ধরে। এ অঞ্চলে মাঝে মাঝে ক্রাইম হয় নানা ধরনের। একটি গ্রুপ ক্রাইম করতে পারে বা ক্রাইম হতে পারে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে গত রাত ২টার দিকে কালশী কবরস্থানের দিকে পুলিশের একটি টিম যায়। সেখানে একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ সমবেত হয়ে ক্রাইম করার পরিকল্পনা করছে- এমন খবরে পল্লবী থানা পুলিশ সেখানে অপারেশনে গিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।

যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন- রফিকুল ইসলাম, শহীদুল ও মোশারফ।

তিনি বলেন, সেখানে আরও কয়েকজন ছিল যারা পালিয়ে যায়। সেখান থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। একটি ডিভাইস উদ্ধার করা হয় যেটি ওয়েট মেশিনের মতো।

তিনি আরও বলেন, ওজন মেশিনের মতো কোনো জিনিস কেন তাদের কাছে থাকবে... সেটা কী প্রশ্ন ওঠায় রাতেই বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট থানায় চলে আসে। তারা ওই ডিভাইসটিকে স্টাডি করে। সেটা দেখার পর তারা আরও বিশদভাবে ডিভাইসগুলো খতিয়ে দেখতে আরও কিছু পর্যবেক্ষণ মেশিনসহ আসার জন্য ইউনিটের অন্য সহকর্মীদের খবর দেয়।

তারা যখন আরও পর্যবেক্ষণ মেশিন নিয়ে আসছিল তখন থানার ভেতর একটি বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণ ঘটার পরে আমাদের চার পুলিশ সদস্যসহ পাঁচ সদস্য আহত হন। তারা সবাই চিকিৎসাধীন আছেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এক্সপার্ট টিম এসে পৌঁছানোর পর তারা পুরো এলাকা সিকিউরড করে। প্রাথমিক স্তরে থেকে তারা তারা ধারণা দেয় যে আরও কিছু বিস্ফোরক অবিস্ফোরিত থাকতে পারে। এরপর আরও দুটি অবিস্ফোরিত এক্সপ্লোসিভ নিষ্ক্রিয় করে থানা ভবন নিরাপদ করা হয়। আমরা এ ব্যাপারে কাজ করছি। আমরা তদন্ত করছি আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। 
এসএ/