ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

কমিউনিস্ট নেতা রতন সেনের হত্যাবার্ষিকী আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩০ এএম, ৩১ জুলাই ২০২০ শুক্রবার

আজ ৩১ জুলাই, কমরেড রতন সেনের ২৮তম হত্যাবার্ষিকী। তিনি উপমহাদেশের প্রখ্যাত কমিউনিস্ট নেতা, মাকর্সবাদী তাত্ত্বিক, আজীবন বিপ্লবী, ত্যাগী কমিউনিস্ট নেতা সিপিবি খুলনা জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি, সাবেক কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। ১৯৯২ সালের ৩১ জুলাই খুলনা ডিসি অফিসের সামনে ঘাতকরা নির্মমভাবে তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।

কমরেড রতন সেনের জন্ম ১৯২৩ সালের ৩ এপ্রিল বৃহত্তর বরিশালের উজিরপুরে। পিতা নরেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত ছিলেন দৌলতপুর বি এল কলেজের প্রধান অফিস সহকারী। তিনি সপরিবারে কলেজের কোয়ার্টারে থাকতেন। সে সুবাদে রতন সেনের শৈশব-কৈশোর কেটেছে দৌলতপুরে। তিনি দৌলতপুর মহসীন স্কুল থেকে মেট্রিক পাশ করে দৌলতপুর একাডেমিতে (বি এল কলেজ) ভর্তি হন। বি এল কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে বিএ অনার্স (ইংরেজি)-তে ভর্তি হন। ছাত্র আন্দোলনের কারণে গ্রেফতার হওয়ায় তিনি জেলে বসে ১৯৪২ সালে ডিস্টিংশনসহ বি এ পাস করেন।

রতন সেন রাজনীতিতে প্রবেশ করেন বড়ভাই বিপ্লবী মোহিত লাল সেনগুপ্তের হাত ধরে। তিনি ছিলেন যশোর-খুলনা যুব সংঘের নেতৃস্থানীয় কর্মী।

রতন সেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। ১৯৭১ সালের মার্চের দিনগুলো তিনি খুলনা অঞ্চলের পার্টি কমরেডদের সংগঠিত করে ট্রেনিংয়ের জন্য ভারতে পাঠাতে থাকেন। ১১ এপ্রিল সহযোদ্ধা অমর কৃষকনেতা বিষ্ণু চ্যাটার্জী ঘাতক-দালালদের হাতে নিহত হওয়ার পর তিনি ভারতে চলে যান। প্রথমে পশ্চিমবঙ্গের বশিরহাটে পানতোড়, পরে টাকী মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে অবস্থান করেন। আশেপাশের শরণার্থী ক্যাম্প থেকে ছাত্র, যুবকদের সংগঠিত করে রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ দিতেন। তাছাড়া ১৮৪৭ সালে দেশত্যাগ করা সহযোদ্ধা স্বদেশ বসু, কুমার মিত্র, কৃষ্ণ বিনোদ রায়, ধনঞ্জয় দাস প্রমুখের সহযোগিতায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গড়ে তোলেন। মুক্তিযুদ্ধে ছাত্র ইউনিয়ন-ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টির যৌথ গেরিলাবাহিনী গড়ে তোলার জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।

স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে পার্টির দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তিনি ছিলেন খুলনা জেলা কমিটির সম্পাদক। ১৯৭৩ সাল থেকে তিনি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। ১৯৮৯ সালে সভাপতির পদ সৃষ্টি হলে তিনি খুলনা জেলা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন। কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য থাকাকালে তিনি বেশকিছু দিন ঢাকায় অবস্থান করেন। সে সময় পার্টির গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধ, দলিল, ইস্তেহার রচনা করেন।
এসএ/