ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘দ্য পোয়েট অব পলিটিক্স’ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:১৯ পিএম, ৩ আগস্ট ২০২০ সোমবার

‘দ্য পোয়েট অব পলিটিক্স’-জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এই উপাধি দিয়েছিলো বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন নিউজউইক। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যত কবিতা লেখা হয়েছে পৃথিবীর অন্য কোনো নেতা বা ব্যক্তি তার ধারে কাছেও নেই। স্বাধীনতা আর বঙ্গবন্ধু সমার্থক। তাইতো মুক্তির কবিতায় বারবারই এসেছেন বঙ্গবন্ধু। ৭৫ এর ১৫ই আগস্টের প্রতিবাদও হয়েছে পঙক্তিমালায়। শুধু কবিতায় নয় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আছে অসংখ্য রচনা। 

শহীদ মিনার থেকে খসে পড়া একটি রক্তাক্ত ইট গতকাল আমাকে বলেছে, 
আমি যেনো কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি। 
আমি তাঁর কথা বলতে এসেছি। 

পঙক্তিমালায় জাতির পিতা হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। ‘সেই রাতের কল্পকাহিনীতে’ উঠে এসেছে রক্তাক্ত কাল রাতের কথা - 
তোমার ছেলেরা মরে গেছে প্রতিরোধের প্রথম পর্যায়ে। 
তারপর গেছে তোমার পুত্রবধূদের মেহেদির রঙ
তারপর তোমার জন্ম সহোদর ভাই শেখ নাসের
তারপর গেছে তোমার প্রিয়তমা বাল্য বিবাহিতা স্ত্রী 
আমাদের নির্যাতিতা মা। 

জীবনভর মানবতা, নায্যতা আর সাম্যের জয়গান গাওয়া বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অন্নদা শঙ্কর রায় বলেছেন, যতকাল রবে পদ্মা, যমুনা গৌরি মেঘনা বহমান, ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান। জসিম উদ্দিন, সুফিয়া কামাল, শামসুর রাহমান, শহীদ কাদরী, সৈয়দ শামসুল হক, বেলাল চৌধুরী, ত্রিদিব দস্তিদারসহ অসংখ্য কবি লিখেছেন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে। মিনার মনসুর লিখেছিলেন- এভাবে কি কেউ চলে যায়?

কবি ও জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর জানালেন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে শত শত গ্রন্থ রচিত হয়েছে, এত বই, এত প্রবন্ধ, এত কবিতা।

শিশুদের টার্গেট করে, তরুণদের টার্গেট করে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের টার্গেট করে, স্বল্প সাক্ষর জ্ঞান সম্পন্যদের টার্গেট করে, এই রকম কাজ এখনো প্রত্যাশিত মাত্রায় হয়নি, তবে চেষ্টা চলছে, বড় বড় যেসব সাহিত্য বা কালজয়ী উপন্যাস দেখা যায় সেগুলো রচিত হতে অনেক সময় লেগেছে।

ধন্য সেই পুরুষ, 
যার নামের ওপর পতাকার মতো দুলতে থাকে স্বাধীনতা। তিনি নিজেও লিখেছেন তার জীবনের কথা। বঙ্গবন্ধুকন্য শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার প্রচেষ্টায় প্রকাশ হয়েছে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজ নামচা’। জাতির পিতাকে নিয়ে প্রকাশ হচ্ছে অসংখ্য রচনা।  

বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমদ বলেন, সবার আগে তাদেরকে মূল্যায়ন করা দরকার, যারা দুর্দিনে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে লিখেছেন। এই সব বই প্রকাশকরা দুর্দিনে খুবই ঝুঁকি নিয়ে বই প্রকাশ করেছেন, দুর্দিনে লেখাগুলি যদি ঠিক মতো প্রকাশিত না হতো তাহলে কিন্তু ইতিহাস সঠিকভাবে সংরক্ষণ হতো না।

স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু সমার্থক। তিনিইতো রাজনীতির কবি। 
অত:পর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন
তখন পলকে, দারুন ঝলকে তরিতে উঠিলো জল 
হৃদয়ে লাগিলো দোলা, জন সমুদ্রে জাগিলো জোয়ার 
সকল দুয়ার খোলা, কে রোধে তাহার বজ্রকণ্ঠ বাণী? 
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তার অমর কবিতাখানি। 

মুজিবুর রহমান, ওই নাম যেন বিসুভিয়াসের অগ্নি উগারি বান।

এসইউ/এমবি