ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শুরু হলো বাঙালির শোকের মাস আগস্ট (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০২ পিএম, ৩ আগস্ট ২০২০ সোমবার

শুরু হলো বাঙালির শোকের মাস আগস্ট। সদ্য স্বাধীন দেশে, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে ঘাতকরা। ক্ষত-বিক্ষত হয় সংবিধান। আবারো পাকিস্তানি ভাবধারায় উল্টোপথে যাত্রা। যুদ্ধজয়ী জাতিকে হাজার বছর পিছিয়ে দিতেই ইতিহাসের নৃশংসতম এই হত্যাকাণ্ড। জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ- মুজিববর্ষে ফিরে আসা শোকের আগস্ট খালি করে দেয় বাঙালির বুক। 

পাকিস্তানি অত্যাচার নির্যাতনে ঘোর অমানিশা। আলোর দিশারি হয়ে এলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার নেতৃত্বের যাদুর কাঠিতে বাংলাদেশের জন্ম। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা। অর্থনীতিকে শক্ত ভিত দিতে দিনরাত পরিশ্রম করছিলেন বঙ্গবন্ধু। 

শুরু হলো আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। এর ডালপালা মেলে রাজনীতির মাঠে, ক্যান্টনমেন্টে। ১৫ আগস্ট রক্তাক্ত হলো ধানমন্ডি ৩২ নম্বর, রক্তাক্ত হলো বাংলাদেশ। খুঁজে খুঁজে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সবাইকেই হত্যা করে ঘাতকরা। 

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, শোকের মাসে বার বার চোখে ভেসে উঠছে সেই মহামানবের ছবি যে, যিনি তার জীবনের ১৩ বছর পাকিস্তানের কারাগারে নির্যাতন ভোগ করেছিলেন, ২ বার ফাঁসির আসামী হয়ে এ জাতীকে ঐক্যবদ্ধ করে মুক্ত করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, যেই কারণে তাকে হত্যা করা হয়- অর্থাৎ স্বাধীন এই বাঙ্গালি জাতি যাতে মুখ থুবড়ে পড়ে যায়, বাঙ্গালি তার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হারায় , দেশটি আবার নব্য পাকিস্থানে রুপান্তরিত হয়, সেই লক্ষকে সামনে রেখেই , তারা ইতিহাসের চাকা পিছন দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিল। স্বাধীন দেশের স্থপতিকে স্বপরিবারে হত্যার পর রক্তাক্ত হলো সংবিধান। উল্টোপথে হাটতে শুরু করে দেশ।

দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান জাতির পিতার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। মুক্তির মহানায়কের জন্মশতবর্ষ- মুজিববর্ষ যখন উদযাপন করছে জাতি তখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ। মুজিববর্ষেই এলো শোকাবহ দিনটি। ৭৫ থেকে ২০২০, ৪৫ বছরে পিতা হারানোর কষ্ট পাথর চাপা দিয়ে তাঁর স্বপ্নের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।    

এসইউএ/এমবি