ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:২৯ পিএম, ৫ আগস্ট ২০২০ বুধবার

পঁচাত্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর ইতিহাসকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে সামরিক স্বৈরাচাররা। জাতির পিতার নাম উচ্চারণেই ছিল অলিখিত নিষেধাজ্ঞা। পাঠ্য পুস্তকে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ভুল ইতিহাস জেনে বেড়ে উঠেছে কয়েকটি প্রজন্ম। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর ইতিহাস বিকৃতি করে রাষ্ট্রদ্রোহ অপরাধ করেছে মোশতাক-জিয়ারা।  

৭৫ এর ১৫ই আগস্ট রক্তাক্ত বাংলাদেশ, রক্তাক্ত সংবিধান।   

জাতির পিতাকে হত্যার পর ভোর বেলা শাহবাগের বাংলাদেশ বেতারের ব্রডকাস্ট শাখা থেকে হত্যাকাণ্ড এবং সামরিক সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের ঘোষণা প্রচার করা হয়েছিল। ট্রান্সমিশন কক্ষে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে বাধ্য করা হয়েছিল সেই ঘোষণা দিতে। বেতারে শেষবারের মতোই সেদিন উচ্চারিত হয় শেখ মুজিবের নাম।

খুনি মেজর শরীফুল হক ডালিমের লগ বুকে লেখা বিবৃতিই ঘোষণা করা হয়। ঘোষণায় বলা হয়- শেখ মুজিবকে হত্যা করা হইয়াছে এবং খন্দকার মুশতাকের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করিয়াছে। 

আরেক খুনি মেজর শাহরিয়ার রশিদের কড়া নির্দেশনা ছিল, শেখ মুজিবুর রহমান বা তার দলের নাম, রবীন্দ্র সংগীত অথবা জয়বাংলা স্লোগান কিছুই যেন আর প্রচার না হয়। শুধু বেতার নয়, টেলিভিশন কিংবা কোন প্রামাণ্যচিত্রেও দেখানো হয়নি বঙ্গবন্ধুকে। পাঠ্যপুস্তক থেকে মুছে ফেলা হলো জাতির পিতার নাম।
 
প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রথম যেই কাজটি করেছিল, নানা রকম মিথ্যাচার করেছিল, পরবর্তীতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়, বঙ্গবন্ধুর নাম তারা মুছে ফেলতে চেয়েছিল। খুনীদের নৃশংসতার পর ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্রীয়ভাবে ইতিহাসকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছিল। 

ইতিহাস বিকৃতিকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবিও এসেছে বার বার।

এসইউএ/এমবি