ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২২ পিএম, ৭ আগস্ট ২০২০ শুক্রবার

খ্যাতিমান ভারতীয় চিত্রশিল্পী, নন্দনতাত্বিক এবং লেখক ডঃ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী আজ। ভারতীয় এই কৃতি চিত্রশিল্পী ১৮৭১ সালের আজকের এই দিনে পশ্চিম বঙ্গের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন।
 
ছেলেবেলা থেকেই তিনি চিত্রাঙ্কনের প্রতি আকৃষ্ট হন। মাত্র ন’বছর বয়সে পিতার ব্যবহৃত রঙ পেনসিল ব্যবহার করে তাঁর হাতেখড়ি হয় চিত্রশিল্পে। তার পিতার নাম শ্রী গুনেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মাতা সৌদামিনী দেবী। 

অবনীন্দ্রনাথ সংস্কৃত কলেজে শিক্ষালাভ করেন। প্রথাগত অঙ্কনশিল্পের শিক্ষালাভের সুযোগ এখানে না থাকলেও তিনি তাঁর সহপাঠী অনুকুল চ্যাটার্জির কাছে কিছুদিন যাবৎ অঙ্কনচর্চা করেন। চিত্রশিল্পের পাশাপাশি ভাস্কর্য শিল্পেও সমান দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ। বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন এই শিল্পীর অবাধ বিচরণ দেখা যায় সাহিত্য জগতে। তিনি সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে খুবই সাফল্যলাভ করেছিলেন কলেজ জীবনে। কিশোর উপন্যাসের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান বিশেষ উল্লেখযোগ্য। 

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের প্রপৌত্র এবং মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের তৃতীয় ভ্রাতা গিরীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৌত্র ও গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কনিষ্ঠ পুত্র। সে দিক থেকে কবিগুরু রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর তার পিতৃব্য ছিলেন। অবনীন্দ্রনাথ সাধারন মানুষের কাছে ‘অবন ঠাকুর’ নামেই অধিক পরিচিত ছিলেন। 

১৮৯২ থেকে ১৮৯৪ সালের মধ্যে অবনীন্দ্রনাথের কিছু পুর্ববর্তী অঙ্কনকার্য ‘সাধনা পত্রিকা’, ‘চিত্রাঙ্গদা’ এবং রবীন্দ্রনাথের আরো কিছু কার্যে ব্যবহ্রত হয়। ১৮৯৬ সালে মাত্র ছাব্বিশ বছর বয়সে কোলকাতা আর্ট কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ নিযুক্ত হন তিনি। ভারতীয়দের মধ্যে তিনিই প্রথম এই সম্মান লাভ করেন। এর পরে বহুদিন ধরে বহু সম্মান অর্জন করেছেন, বহু মর্যাদা সম্পন্ন পদ অলঙ্কৃত করেছন। 

অবনীন্দ্রনাথ ১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ পর্যন্ত বিশ্বভারতীর আচার্যর পদেও আসীন ছিলেন। অবনীন্দ্রনাথ সঙ্গীত এর ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রসারিত করেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁর বহু গানের কথা ও সুর রচনার ক্ষেত্রে অবনীন্দ্রনাথের বাজানো এসরাজের সাহায্য নিয়েছেন। অবনন্দ্রিনাথ এই সময় বহু গল্প ও নাটক রচনা করেন যা পরবর্তীকালে প্রকাশিত হয়।

অবনীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্মের সংক্ষিপ্ত তালিকা- রাজকাহিনী, শকুন্তলা, ক্ষীরের পুতুল, ভূত পত্রীর দেশ, নালক, নাহুশ, বুড়ো আঙলা, আপন কথা ঘরোয়া, পথে – বিপথে, জোড়াসাঁকোর ধারে, বাংলার ব্রত (চিত্রশিল্প সংক্রান্ত), ভারতশিল্পে মুর্তি (চিত্রশিল্প সংক্রান্ত), ভারতশিল্প (চিত্রশিল্প সংক্রান্ত), ভারতশিল্পের সাদঙ্গ (চিত্রশিল্প সংক্রান্ত), খাজাঞ্জির খাতা, প্রিয়দর্শিকা, চিত্রাক্ষর, সহজ চিত্র শিক্ষা, ভারত শিল্পের ষড়ঙ্গ, আলোর ফুলকি, মাসি, একে তিন তিনে এক, শিল্পায়ন, মারুতির পুঁথি, রং বেরং ইত্যাদি।
এসএ/