ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

করোনার ৬ ধরনের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:২৭ পিএম, ৭ আগস্ট ২০২০ শুক্রবার

বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৮৯ লাখ মানুষের মধ্যে ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে বিশ্বে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭ লাখেরও বেশি। ক্রমেই রূপ বদলিয়ে চলছে কোভিড-১৯। তাই তো শত চেষ্টার পরও করোনা প্রতিরোধের ভ্যাকসিন এখনও আনতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। এই পরিস্থিতিতে করোনা সম্পর্কে নতুন তথ্য সামনে আনলেন একদল ব্রিটিশ গবেষক।

সম্প্রতি লন্ডনের কিংস কলেজের একদল গবেষক ব্রিটেন ও আমেরিকার প্রায় ১ হাজার ৬শ’ জন করোনা রোগীকে নিয়ে সমীক্ষা চালান। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ৮-১০ দিন পর্যবেক্ষণের পর রোগীদের থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে ছয় রকমের করোনাভাইরাসের অস্তিত্বের সন্ধান পেয়েছেন ব্রিটিশ গবেষকরা! 

এই গবেষকদের দাবি, ছয় রকমের করোনাভাইরাসের উপসর্গগুলোও ভিন্ন ভিন্ন ধরনের। এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক এই ৬ রকমের করোনাভাইরাস ও সেগুলোর নানা উপসর্গ সম্পর্কে কী বলছেন ব্রিটিশ গবেষকরা...

প্রথম ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গা, হাত-পা ব্যথা, গলা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, ঘ্রাণশক্তি হারানো, সর্দি-কাশির মতো উপসর্গগুলোর পাশাপাশি শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি থাকে এবং জ্বর তিন দিনের বেশি সময় পর্যন্ত স্থায়ী হয়।

দ্বিতীয় ধরনের আক্রান্তদের ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকে। জ্বর না থাকলেও গা, হাত-পা ব্যথা, গলা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, ঘ্রাণশক্তি হারানো, সর্দির মতো উপসর্গগুলো দেখা যায় এই ধরনের আক্রান্তদের মধ্যে।

তৃতীয় ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে দু’-তিন দিন ধরে পেটে পেটে ব্যথা, পেট কামড়ানো বা মোচড় দেওয়া, ডায়েরিয়া, খাওয়ার ইচ্ছে না থাকা, গলা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণার মতো সমস্যা দেখা দেয়। তবে এই আক্রান্তদের মধ্যে জ্বর বা সর্দি-কাশির মতো সমস্যাগুলো থাকে না।

চতুর্থ ধরনের করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে মধ্যে গলা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, ঘ্রাণশক্তি হারানো, সর্দি-কাশি, জ্বরের পাশাপাশি সারাক্ষণ ক্লান্তি ও অবসন্ন ভাব লক্ষ্য করা যায় আক্রান্তদের মধ্যে।

পঞ্চম ধরনের আক্রান্তদের মধ্যে গলা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, ঘ্রাণশক্তি হারানো, খাওয়ার ইচ্ছে না থাকা, সারাক্ষণ ক্লান্তি ও অবসন্ন ভাব, চিন্তা-ভাবনার ক্ষেত্রে বিভ্রান্তির মতো সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। করোনাভাইরাসে এই আক্রান্তদের সামান্য জ্বরও থাকে।

ষষ্ঠ ধরনের করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে গলা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, ঘ্রাণশক্তি হারানো, খাওয়ার ইচ্ছে না থাকা, পেটে ব্যথা, ডায়েরিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশির পাশাপাশি শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যাও লক্ষ্য করা যায়। এ ক্ষেত্রে রোগীদের শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা দ্রুত কমতে থাকে। 

সূত্র: জি নিউজ

এএইচ/এমবি