ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

হিলিতে আঙিনায় সবজি বাগান গড়ে তুলেছেন কৃষকরা

হিলি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৭:৩২ পিএম, ৭ আগস্ট ২০২০ শুক্রবার

দিনাজপুরের হিলিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক ও সরকারি সহযোগীতায় করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় নিজের পরিবারের পুষ্টি চাহীদা মেটাতে নিজ নিজ আঙিনায় সবজি বাগান গড়ে তুলেছেন কৃষকরা। এতে করে উৎপাদিত সবজি দিয়ে নিজেদের পরিবারের পুষ্টি চাহীদা যেমন মিটছে তেমনি সবজি বিক্রি করে বাড়তি আয় করছেন তারা।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিস সুত্রে জানা গেছে, গতজুন মাসে হাকিমপুর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত ৩২জন কৃষক-কৃষানী করে উপজেলার খট্টামাধবপাড়া, বোয়ালদাড় ও আলিহাট এই ৩টি ইউনিয়নের মোট ৯৬জন কৃষক-কৃষানীকে ১১ধরনের সবজির বীজ বিতরন করা হয়। একই সাথে বাগান করতে ও সারসহ দেখাশোনা ও রক্ষনাবেক্ষনের জন্য প্রত্যেক কৃষককে ১ হাজার ৯৩৫ টাকা করে দেওয়া হয়। এর পর থেকেই ওইসব চাষীরা তাদের নিজ নিজ আঙিনায় সবজি বাগান গড়ে তোলেন।

হিলির ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের সবজি চাষী আজমল হোসেন ও মাধবপাড়া গ্রামের সবজি চাষী রফিকুল ইসলাম জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আহবান জানিয়েছেন প্রতি ইঞ্চি জমির সদব্যবহার করতে। এছাড়াও সরকারিভাবে বিভিন্ন সবজির বীজ বিতরন ও তা রক্ষনাবেক্ষনের জন্য অর্থ অর্থ দিয়ে সহযোগীতা করেছেন। এর ফলে আমরা আমাদের বাড়ির উঠানে ও এর আশেপাশে যেসমস্ত ফাঁকা জায়গা পড়েছিলো সেগুলোতে সবজির বাগান গড়ে তুলেছি।

এসববাগানে পুইশাক, লালশাক, ডাটাশাক, কলমি শাক, বরবটি, শিমসহ ১১ধরনের সবজি চাষ করা হচ্ছে। এ থেকে উৎপাদিত বিষমুক্ত ও ফরমালিন মুক্ত সবজি দিয়ে নিজের পরিবারের চাহীদা যেমন মিটছে তেমনি আত্মীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশিকেও দেওয়া হচ্ছে। এর পরেও বাড়তি সবজি বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় হচ্ছে আমাদের। এছাড়াও আগে আমাদের বিভিন্ন হাটে ও বাজারে যেতে হতো এসব সবজি কিনতে যার কারনে করোনাতে আক্রান্ত হওয়ার যেমন ভয় থাকতো তেমনি বাড়তি ব্যায় করতে হতো সেটিও আর হচ্ছেনা।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গিকার প্রতি ইঞ্চি জমির সদব্যবহার এই স্লোগানকে সামনে রেখে হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে কৃষি প্রনোদনা কর্মসুচির আওতায় পারিবারিক সবজি পুষ্টি বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। এর মুল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ছিল নিজেদের সবজি বাগান থেকে উৎপাদিত সবজি দিয়ে পরিবারের সবজি ও পুষ্টির চাহীদা পুরন করবে, সেই সাথে বাড়তি আয়ের সংস্থান সেটিও এই সবজি থেকে পুরন করতে পারছে। কোন জমিই ফাকা থাকছেনা প্রতি ইঞ্চি জমির সদব্যবহার করা হচ্ছে বছরব্যাপী সেখানে সবজি বাগান করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। একই সাথে বিশ্বব্যাপি করোনা ভাইরাসের যে প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে সেটি মোকাবেলায় বড় ভুমিকা পালন করছে।

আারকে//