ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১০ ১৪৩১

বাগেরহাটে শসার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৭ পিএম, ৮ আগস্ট ২০২০ শনিবার | আপডেট: ১০:১২ পিএম, ৮ আগস্ট ২০২০ শনিবার

বাগেরহাটে মৌসুমী সবজি শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ভাল দাম পেয়ে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।জেলার পাঁচটি উপজেলায় সবজি ক্ষেত ও মৎস্য ঘেরের পারে বিপুল পরিমান শসার চাষ হয়েছে। প্রতিদিন এই জেলা থেকে শতাধিক ট্রাকে শসা যাচ্ছে দেশের বড় শহরগুলোতে। করোনা পরিস্থিতিতে নিজ বাড়ির সামনে বসে নায্যমূল্যে ব্যবসায়ীদের কাছে শসা বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষকরা।

কৃষকরা জানান, শসা একটি স্বল্প সময়ের সবজি। বিচি রোপনের ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে ফল আসে। ফল আসার পরে ৩৫ থেকে ৪০ দিন পর্যন্ত গাছে ফল দেয়। বাল পরিচর্যা এবং প্রয়োজনীয় সার দিলে এক একর জমি থেকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৯ মন পর্যন্ত শসা বিক্রি করা যায়। 

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী জেলার কচুয়া, বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, ফকিরহাট ও মোল্লাহাট উপজেলায় শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে এর মধ্যে সব থেকে বেশি শসা উৎপাদন হয় চিতলমারী উপজেলায়। এই উপজেলা থেকে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাকে করে শসাসহ বিভিন্ন সবজি যায় দেশের বড়বড় শহরে। এবছর ৫০ হাজার টনের বেশি শসা উৎপাদন হবে এই জেলায়। চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় এই শসা যাচ্ছে। কোন প্রকার দালাল ছাড়া সরাসরি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করায় কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন।

চিতলমারী উপজেলার উমাজুরি গ্রামের মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, এক একর জমিতে শসার চাষ করেছি। গেল দশ দিন থেকে বিক্রি শুরু করেছি। প্রতিদিন ৫ থেকে ৮ মন পর্যন্ত শসা বিক্রি করি। এবার ফলনও যেমন বেশি হয়েছে। দামও মোটামুটি ভাল পাচ্ছি।

শসা চাষকারী কৃষক মোঃ তহিদুল ইসলাম, সমীর ঘরামীসহ কয়েক জন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে একটু পরে বিভিন্ন সজজির বীজ বপন করেছি। আবহাওয়া অনুকুল থাকায় এবার শসার ফলন খুব ভাল হয়েছে।জেলা কৃষি বিভাগও আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছেন। পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি অথবা ৪‘শ থেকে ৬‘শ টাকা মন বিক্রি করছি। এরকম দাম থাকলে এবার আমাদের মোটামুটি ভালই লাভ হবে।

চিতলমারী উপজেলার অশোকনগর গ্রামের বিশ্বজিত বড়াল বলেন, এ বছর ১০ একর জমিতে শসার চাষ করেছি। তিন লক্ষ টাকা ব্যয় করেছি। বর্তমানে প্রতিদিন একশ মনের উপরে শসা বিক্রি করছি। আমার কৃষি ক্ষেত ও মাছের ঘেরে নিয়মিত আটজন শ্রমিক কাজ করেন। সব খরচ দিয়ে এ বছর শসায় দশ লক্ষাধিক টাকা লাভ হবে বলে মনে করছি।

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রঘুনাথ কর বলেন, বাগেরহাট জেলায় সবজি আবাদের উপর অতিরিক্ত জোর দেওয়া হয়েছে। সরকার সময়ত বীজ, সার ও ঋণ প্রবাহ সচল রেখেছেন। যার ফলে এবছর বিভিন্ন সবজি বিশেষ করে শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। এছর বাগেরহাটের কয়েকটি উপজেলায় ৫০ হাজার টন শসার ফলন হবে। আমরাও কৃষকদের সব ধরণের কারিগরি সহযোগিতা ও বাজারজাত করণের পরামর্শ দিয়েছি।যাতে কৃষকরা লাভবান হতে পারে সেজন্য আমাদের সব ধরণের চেষ্টা রয়েছে।
কেআই/