ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

করোনা প্রতিরোধে বিশেষ ম্যাট্রেস নিলেন মেসি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩৪ এএম, ৯ আগস্ট ২০২০ রবিবার

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কোন ভ্যাকসিন বের হয়নি। আর কবে বেরোবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই সাধারণ মানুষ তো বটেই, তারকারাও করোনা থেকে বাঁচতে সাবধানতা অবলম্বন করে চলছেন। সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, হেড ক্যাপ, গ্লাভস, ফেস শিল্ড ব্যবহার তো করা করছেনই, এছাড়া কেউ কেউ আরও বিশেষ কিছুর খুঁজে নিচ্ছেন। এ রকম বিশেষ কিছু খুঁজে নিলেন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি।

মেসি করোনা থেকে রক্ষা পেতে নিয়েছেন বিশেষ এক ম্যাট্রেস। এটি করোনা প্রতিরোধী। এই ম্যাট্রেস চার ঘণ্টার মধ্যে করোনার জীবাণু মারতে সক্ষম বলে দাবি করেছে প্রস্তুতকারক সংস্থা। মেসি অবশ্য সেই ম্যাট্রেস কেনেননি। যে সংস্থা এই ম্যাট্রেস তৈরি করেছে তারাই বার্সলোনার এই তারকাকে উপহার দিয়েছে।

স্পেনের কোম্পানি টেক মুন এই বিশেষ ম্যাট্রেসটি তৈরি করেছে। মেসির এই করোনা প্রতিরোধী ম্যাট্রেস নিয়ে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর আলোচনা চলছে।

মেসি ছাড়াও বার্সেলোনায় তার সতীর্থ সল নিগেজ ও সার্জিও আগুয়েরোকেও এই ম্যাট্রেস উপহার দিয়েছে প্রস্তুতকারক সংস্থাটি। এখন মেসি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ম্যাট্রেসটি ব্যবহারও করছেন। আর এমন তথ্য প্রকাশ করেছে স্প্যানিশ গণমাধ্যমগুলো।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভো জানিয়েছে, এই ম্যাট্রেস ৯৯.৮৪ শতাংশ করোনার জীবাণু ধংস করতে সক্ষম। এই ম্যাট্রেসের সুতোয় রয়েছে অতি সুক্ষ কণা। সেই কণা ভাইরাস মারতে সক্ষম। করোনা আক্রান্ত কেউ এই ম্যাট্রেসে ঘুমোলে তাঁর শরীরে থাকা করোনার জীবাণু মেরে ফেলতে পারবে এই ম্যাট্রেস। করোনার থেকেও পাঁচ গুণ ছোট জীবানুনাশক কণা ব্যবহার করা হয়েছে এই ম্যাট্রেসে। এই প্রতিরোধ ব্যবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভাইরাক্লিন’।

অপরদিকে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘এএস’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, টেক মুন কোম্পানির বিশেষ এই ম্যাট্রেসটি মেসি কিনে নিয়েছেন। এটি কিনতে তার খরচ পড়েছে মাত্র ১২০০ ইউএস ডলার। যা বাংলাদেশি অর্থমূল্যে এক লাখ টাকার সমান। এই ম্যাট্রেসটির বিশেষত্ব হচ্ছে, এর মধ্যে এমন একধরনের জীবাণুনাশক আছে, যা প্রতি চার ঘণ্টা পরপর ম্যাট্রেসটিকে প্রায় শতভাগ জীবাণুমুক্ত করতে সক্ষম হয়।

এছাড়া শুধু ভাইরাস প্রতিরোধে নয়, ঘুমাতেও নাকি সাহায্য করে এই ম্যাট্রেস। বিশেষ একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে এটি তৈরিতে, যাকে কোম্পানিটি নাম দিয়েছে ‘স্লিপ সিস্টেম’।

এএইচ/এমবি