ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ব্রাজিলে কমেছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৮ এএম, ১০ আগস্ট ২০২০ সোমবার | আপডেট: ১২:০০ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২০ সোমবার

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত এক ব্যক্তির দেহ ব্রাজিলের মানাউসের নেগরো নদী পার করা হচ্ছে- এপি

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত এক ব্যক্তির দেহ ব্রাজিলের মানাউসের নেগরো নদী পার করা হচ্ছে- এপি

ব্রাজিলে প্রাদুর্ভাবের ছয় মাসের বেশি সময়ে করোনায় প্রাণহানি লাখ ছাড়াল। দেশটিতে এখন প্রতিদিনই সহস্রাধিক মানুষের প্রাণ কাড়ার পাশাপাশি অন্তত অর্ধলক্ষ মানুষের দেহে শনাক্ত হচ্ছে ভাইরাসটি। তবে দেশটিতে গত এক দিনে আগের দিনের তুলনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে।

ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যানে আজ সোমবার সকালে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগের দিনে মৃত্যু হয়েছিল ৮৪১ জনের। মোট প্রাণহানি হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ১৩৬ জনের। নতুন করে ২২ হাজার ২১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৫৮২ জনে দাঁড়িয়েছে। 

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশটির সাও পাওলো শহরে ৬১ বছর বয়সী ইতালি ফেরত একজনের শরীরে ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই অবস্থা ক্রমেই সংকটাপন্ন হতে থাকে। যেখানে আক্রান্ত ও প্রাণহানির তালিকায় অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। শুধু ব্রাজিলই নয়, করেনার ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও। যেখানে পূর্বের তুলনায় ভাইরাসটির দাপট অনেকটা বেড়েছে। এমন অবস্থায় করোনাকে বাগে আনতে দেশগুলোর সরকার মানুষকে ঘরে রাখতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু অর্থনীতির চাকা সচল থাকা নিয়ে রয়েছে যত দুশ্চিন্তা। ফলে সংকটাবস্থার মধ্য দিয়ে ব্রাজিল, পেরু, চিলি, ইকুয়েডর ও আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলোতে অনেক কিছুই চালু রয়েছে। 

এর মধ্যে ব্রাজিলে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা। যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটিতে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে। অপরদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বিতীয় দফায় করোনা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ব্রাজিল ভাইরাসটির এখন প্রধানকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোতে দ্রুত বিস্তার লাভ করায় পেরু, চিলি ও কলম্বিয়ার মতো দেশগুলোর প্রত্যেকটিতে আক্রান্ত ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। 

মেক্সিকোয় আক্রান্ত ৪ লাখ ৮০ হাজারের অধিক। প্রাণ গেছে ৫২ হাজার ২৯৪ জন মানুষের। পেরুতে আক্রান্ত ৪ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি। যেখানে মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ৭২ জন। কলম্বিয়ায় শনাক্ত হয়েছে ৩ লাখ ৮৭ হাজার রোগী। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৮৪২ জনের। চিলিতে সংক্রমণ ৩ লাখ ৭৩ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ১০ হাজার ৭৭ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা। আর্জেন্টিনায় সংক্রমিতের সংখ্যা ২ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯৯ জনে দাঁড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬০৬ জনের। 

এমএস/