ঢাকা, বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

মানবতার এক কালো অধ্যায় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৫ এএম, ১০ আগস্ট ২০২০ সোমবার

সভ্যতা ও মানবতার ইতিহাসের এক কালো অধ্যায় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশটি জারি করে ক্ষমতা দখলকারী খুনি মোশতাক। ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতে পারেনি কেউ, বিচার চাইতে পারেননি বাবা-মা-ভাই হারা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে কালা-আইনটি বাতিল করে জাতীয় সংসদ। খুলে যায় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ। 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। রক্তাক্ত হয় বাংলাদেশ। জাতীয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। 

নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের পর খুনিদের যাতে বিচার করা না যায় সেজন্য ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশ জারি করে ক্ষমতা দখলকারী খুনি মোশতাক। অধ্যাদেশের মূল কথা হলো, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ভোরে আইনের পরিপন্থী যা কিছুই ঘটুক না কেনো খুনিদের বিরুদ্ধে কোনো আদালতে মামলা বা অভিযোগ দায়ের করা যাবে না।  

এ সম্পর্কে সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু বলেন, তার রাষ্ট্রপতি হওয়াটাও অবৈধ, অধ্যাদেশ জারি করাটাও অবৈধ।

১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই আরেক ক্ষমতা দখলদার জিয়াউর রহমান সংবিধানের ৫ম সংশোধনীতে কালা আইনটি সংবিধানে ঢুকিয়ে দেয়।

বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মাত্র ৯ দিনের মাথায় সেনাপ্রধান হন জিয়াউর রহমান। মোশতাক ছিল তার হাতের পুতুল। 

সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু বলেন, জিয়া যখন রাষ্ট্রপতি হলো তাতেও খুনিরা জানিয়েছে Presient is that. This is so what? Presient is that by presient is there. তার উচিত ছিল সাথে সাথে এই খুনিদের গ্রেফতার করে আইনের হাতে সোপর্দ করা।

মা-বাবা-ভাই হারানোর কষ্ট বুকে পাথর চাপা দিয়ে সয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বিচার চাইতে পারেননি। 

আব্দুল মতিন খসরু বলেন, নিজের পিতা খুন হয়েছে কিন্তু তিনি প্রতিশোধ স্পৃহা নিয়ে কাজ করেননি। শতভাগ আইনের শাসনের প্রতি দৃঢ় আস্থা রেখে কাজ করেছেন। দীর্ঘ ৪২ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন। 

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বিচারপতি সাত্তার, জেনারেল এরশাদ এবং খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকলেও ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করেনি। বরং খুনীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুরস্কৃত করা হয়েছে। সামরিক স্বৈরাচারদের ভোট ভোট খেলায় খুনিদের এমপিও বানানো হয়েছে।

আব্দুল মতিন খসরু বলেন, সে নিজে ’৯৬ সালের ভুয়া পার্লামেন্টে কর্নেল রশীদকে বিরোধী দলের নেতা বানিয়েছিল।

দীর্ঘ ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর সপ্তম জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করে। খুলে যায় বিচারের পথ। খুনিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। প্রচলিত আইনে বিচারের রায়ও হয়েছে। 

এএইচ/এমবি