ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

জাতির পিতার হত্যার বিচারে পদে পদে এসেছে বাঁধা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪০ এএম, ১১ আগস্ট ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:৪১ এএম, ১১ আগস্ট ২০২০ মঙ্গলবার

জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করা হলেও বিচারের পথ একেবারেই মসৃণ ছিল না। ২১ বছর পর কালো আইন ইনডেমনিটি বাতিল হওয়ার পর শুরু হয় বিচার কাজ। বিচারপতি বিব্রত হওয়া, বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর বিচার কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়াসহ পদে পদে এসেছে বাঁধা। বিচার প্রক্রিয়ায় প্রসিকিউশন টিমের সাথে ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহপাঠি প্রয়াত আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক ও তাঁর ছেলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর খুনিদের বাঁচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে খন্দকার মোশতাক। 

২১ বছর পর সংসদে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করা হয়। বঙ্গবন্ধুর সহপাঠী অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলামের পরামর্শে শুরু হয় মামলার কার্যক্রম। বাবার পাশে ছিলেন সেই সময়ের তরুণ আইনজীবী আনিসুল হক। অনেক স্মৃতি মাঝে মাঝেই উঁকি দেয় তাঁর মনের কোণে।

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমার পিতা স্কুল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্লাস ফ্রেন্ড এবং সেই কারণেই ঘনিষ্ঠতা।

১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি সিআইডি ২০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিলে শুরু হয় বিচার কাজ। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর মামলার রায়ে বিচারক কাজী গোলাম রসুল ১৫ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। 

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ২১ বছর আগের ঘটনা, প্রতিবন্ধকতা কিন্তু অনেক ছিল। বিএনপির তৎকালীন জিয়াউর রহমানের সরকার এবং এরশাদের সরকার মদদপুষ্ট হয়ে তখনও বিচরণ করছিল।

এরপর শুরু হয় উচ্চ আদালতে আপিল শুনানির প্রক্রিয়া। এ সময় প্রয়াত হন সিরাজুল হক। তবে তিনি আগেই বুঝেছিলেন বিচার যেহেতু শুরু হয়েছে, শেষ হবেই। 

আইনজীবী সিরাজুল হকের ছেলে মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এই মামলাটা তিনি পরিচালনা করবেন বিধায়, মামলাটি রুজু হওয়ার আগ থেকেই কিন্তু আমার পিতার পরামর্শক্রমে এই মামলাটার কার্যক্রম শুরু হয়। 

১৯৯৭ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত বিচারক বিব্রত হওয়াসহ নানা কারণে আটবার বিচার কার্যক্রম স্থগিত হয়। 

এ সম্পর্কে আনিসুল হক বলেন, হাইকোর্টে এসে আমরা দেখেছি যে, সাত সাতজন বিচারপতি এই মামলায় বিব্রতবোধ করেছেন। এটা মানুষকে অবাক করা ঘটনা এবং হাইকোর্ট তার উপর যে মানুষের আস্থা, সেটা নড়ে যাওয়ার কথা। 

২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে বিভক্ত রায় হলে তৃতীয় বেঞ্চে ১২ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে অক্টোবরে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এলে বিচার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ২০১০ আসামিদের রিভিউ খারিজ হলে, ৫ আসামির ফাঁসির রায় কার্যকর হয়, জাতি হয় কলঙ্কমুক্ত।

এএইচ/এমবি