ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৩ জনের মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৩৮ পিএম, ১১ আগস্ট ২০২০ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৩:১৯ পিএম, ১১ আগস্ট ২০২০ মঙ্গলবার

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন আরও ৩৩ জন। ফলে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৪৭১ জনের। ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ৯৯৬ জনের মধ্যে। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫০৩।

করোনাভাইরাস বিষয়ে মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দৈনন্দিন হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য তুলে ধরেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

অতিরিক্ত মহা-পরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৮২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৯৬ জনের দেহে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫০৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

নাসিমা সুলতানা জানান, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৩৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৫১ হাজার ৯৭২ জন।

সারাদেশে সরকারি ও বেসকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৬টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৩১৮ টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৮২০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ লাখ ৮৭ হাজার ৯৮৮টি।

এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৩ জনের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ ও নারী পাঁচজন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৫ জন, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে পাঁচজন করে ১০ জন, রংপুর বিভাগে চারজন, খুলনা বিভাগে তিনজন, ময়মনসিংহ বিভাগে একজন রয়েছেন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩০ জন, বাড়িতে তিনজন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে চারজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৮৬৩ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৮৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৫৮ হাজার ৩৫৪ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৩৯ হাজার ৮৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ২৬০ জন।

উল্লেখ্য, চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল আইইডিসিআর। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে।

ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি। ৭ম দফায় বাড়ানো ছুটি চলে ৩০ মে পর্যন্ত। ৩১ মে থেকে সাধারণ ছুটি নেই। এখন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ভিত্তিক লকডাউন দেয়া হয়। তাই অফিস আদালতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় সরঞ্জামাদি রাখা ও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে।

এসএ/