ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস পালিত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫২ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২০ শনিবার

জাতির  জনক  বঙ্গবন্ধু  শেখ  মুজিবুর  রহমান-এর ৪৫তম  শাহাদৎবার্ষিকী  উপলক্ষ্যে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।

শনিবার (১৫ আগস্ট)  সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে অর্ধনমিতকরণ জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন।

এরপর কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। কালো পতাকা উত্তোলন করেন কলা অনুষদের ডিন ও আহবায়ক, জাতীয় শোকদিবস উদযাপন কমিটি ২০২০ প্রফেসর ড. মো. সাহাব উদ্দিন ও রেজিস্ট্রার ড. মো. হুমায়ুন কবীর। এসময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি জনাব মো. নজরুল ইসলাম, প্রক্টর ড. উজ্বল কুমার প্রধান, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) ও সদস্য-সচিব, জাতীয় শোকদিবস উদযাপন কমিটি ২০২০ ড. শেখ সুজন আলী, কর্মমকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জনাব জাকিবুল হাসান, কর্মচারী সমিতির সভাপতি জনাব জোনায়েদসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, জাককানইবি শাখা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পতাকা উত্তোলন শেষে বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে শোক র‌্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নবনির্মিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু  শেখ  মুজিবুর  রহমান-এর  ভাস্কর্যে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান।

এরপর যথাক্রমে শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচরী সমিতি, ছাত্র হল, ছাত্রী হল, বঙ্গবন্ধু নীল দল, জাককানইবি শাখা ছাত্রলীগ, কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।  এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অনুষদীয় ডিন, বিভাগীয় প্রধান, হলের প্রভোস্টগণ, প্রক্টর, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা পরিষদ, কর্মচারী সমিতিসহ শিক্ষার্থীবৃন্দ। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধু নীল দলের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

এরপর সংক্ষিপ্ত এক আলোচনায় বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আগস্ট মাস আসলেই আমি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ি। আজকের দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র। শুধু খুনিরাই এর সাথে জড়িত নয়, এর সাথে আরও অনেক বড় চক্র জড়িত আছে। আমি চাই আত্মস্বীকৃত খুনিদের দেশে নিয়ে এসে তাদের মৃত্যুদন্ড অবিলম্বে কার্যকর। আর যারা এই হত্যাকাণ্ডের ইন্ধন জুগিয়েছে তারা যেন কোনদিনই এই বাংলার ক্ষমতায় আসীন হতে না পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার লক্ষ্যে গ্রেনেড হামলা চালায়। কিন্তু তারা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে পারেনি এবং কখনও পারবেও না।’ মাননীয় উপাচার্য তাঁর ব্যক্তিগত ও মহান প্রতিষ্ঠান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুসহ শাহাদাতবরণকারী তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিদেহী আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীকে করোনা মহামারী হতে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু নীল দল ও জাককানইবি শাখা ছাত্র লীগের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ জোহর মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে অনলাইনে মুজিববর্ষে জাতীয় শোকদিবস: আমার বঙ্গবন্ধু শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এর আগে গত রাত ১২:০১ মিনিটে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জাককানইবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিবুল হাসান এর আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে দিনের কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান। এসময় উপাচার্যের একমাত্র কণ্যা অহনা অঞ্জলি নব প্রজন্মের প্রতীক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনাব আল জাবির।

উল্লেখ্য, বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে শোক দিবসের সকল কার্যক্রম স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করা হয়েছে।
কেআই//