ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২২ ১৪৩১

পানির ন্যায্য হিস্যা বাংলাদেশের অধিকার

প্রকাশিত : ১১:২৭ এএম, ২৭ এপ্রিল ২০১৭ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৪:১৩ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০১৭ বৃহস্পতিবার

তিস্তার পানি বন্টন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় আবারো অনঢ় থাকার ইঙ্গিত দিলেও, ভারতের সুশীল সমাজ মনে করে, পানির ন্যায্য হিস্যা বাংলাদেশের অধিকার। তাদের মতে, শুধু তিস্তা নয় অভিন্ন ৫৪ নদীর প্রশ্নেই বাংলাদেশেকে আরো সোচ্চার হতে হবে।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দিনের ভারত সফরে সই হয় ৩৬টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক। কিন্তু সফর জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল তিস্তা চুক্তি। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এ ব্যাপারে ইতিবাচক থাকলেও বাধসাধেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও তার বিরোধীতার কারণেই হয়নি পানিবন্টন চুক্তি।

সিকিমে তিস্তায় ৮টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরী করায়, পানির প্রবাহ কমেছে কিনা সম্প্রতি তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখার কথা ছিল বিদ্যুৎ বিষয়ক সম্পর্কিত স্থায়ী সংসদীয় কমিটির। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুলতান আহমেদকে সিকিম যেতে মানা করেন মমতা। ফলে শেষ মুহুর্তে সংসদীয় কমিটির সিকিম যাত্রা বাতিল হয়ে যায়। এমন সিদ্ধান্তে আবারো বাংলাদেশের সঙ্গে পানি ভাগাভাগিতে অনড় থাকার ইঙ্গিতই মমতা দিলেন বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।

তবে পশ্চিমবঙ্গেও মূখ্যমন্ত্রীর এমন একরোখা সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন না ভারতের সুশিল সমাজ।

শুধু তিস্তা নয় ৫৪টি অভিন্ন নদীর ন্যায্য হিস্যা পাওয়ার অধিকার বাংলাদেশের রয়েছে বলে মনে করেন ভারতের রাজনৈতিক ও সুশিল সমাজ।

তবে তিস্তা প্রশ্নে মমতা নয়, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিই আস্থা রাখছে বাংলাদেশ।