ঢাকা, শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪,   জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

উখিয়া থানার ওসিসহ ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা 

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৬:০৩ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০২০ মঙ্গলবার

উখিয়া থানার ওসি (উপরে) ও ওপর দুই পুলিশ সদস্য।

উখিয়া থানার ওসি (উপরে) ও ওপর দুই পুলিশ সদস্য।

ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে কক্সবাজারের উখিয়া থানার ওসি মর্জিনা আকতার, কনস্টেবল মোঃ সুমন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নুরুল ইসলাম ও এএসআই মো: শামীমের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ এক নারী মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদী মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার নয়াপাড়ার বাসিন্দা নুরুচ্ছবির মেয়ে। তিনি কক্সবাজারের একটি বেসরকারি কলেজের ছাত্রী বলে জানা গেছে।

নারী নির্যাতন আইনের ৯ (১) তৎসহ দঃবিঃ আইনের ৩২৩/৩২৪/৩৪২/৩৭৯/৫০৬ ধারা মতে অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট একরামুল হুদা।

এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, কনস্টেবল মো: সুমন (বর্তমানে রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কর্মরত) এর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ঐ নারীর। এর সুবাদে বিয়ের কাবিনের কথা বলে গত ৭ জুলাই বেলা ২টার দিকে রামুর খুনিয়াপালং চেকপোস্ট সংলগ্ন তার কক্ষে নিয়ে যায়। কাজী আসার অপেক্ষার অজুহাতে কক্ষে বসিয়ে রাখে। পরে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর চেকপোস্টের পার্শ্ববর্তী একটি দোকানে বসিয়ে রেখে জরুরী কাজের বাহানা দিয়ে পালিয়ে যায়। অবশেষে রাত ১১টার দিকে বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ফোনে জানান ভিকটিম। তার কথামতো উখিয়া থানায় গেলে ভিকটিমকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেন ওসি মর্জিনা আকতার। এরপর অভিযুক্ত ওসিসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় তাকে থানার একটি কক্ষে আটকে রেখে ব্যাপক মারধর ও নির্যাতন চালানো হয়।

এমনকি পায়ে রশি বেঁধে ও পরনের হিজাব দিয়ে চোখ বেঁধে একটি কক্ষে ফেলে রাখারও অভিযোগ আনেন ভিকটিম। মামলার আরজির সঙ্গে নির্যাতনের কিছু ছবিও যোগ করেন তিনি।

এনএস/