ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

শারমিন আখতারের সাহসী উচ্চারণ গোটা বিশ্বেই পৌঁছে গেছে

প্রকাশিত : ০৮:৩৩ এএম, ২৮ এপ্রিল ২০১৭ শুক্রবার | আপডেট: ০৭:৩২ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০১৭ শুক্রবার

ঝালকাঠি থেকে যুক্তরাষ্ট্র। গোটা বিশ্বেই পৌঁছে গেছে শারমিন আখতারের সাহসী উচ্চারণ। নিজের বাল্য বিয়ে ঠেকিয়ে পরিচিতি পেয়েছে অদম্য তরুণী হিসেবে। ৩০শে মার্চ ওয়াশিংটনে শারমিনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৩ সাহসী নারীকে সম্মাননা দেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেনালিয়া ট্রাম্প। শারমিনের সাহসী পদক্ষেপের গল্প এখন মানুষের মুখে মুখে।
বাল্যবিবাহ ঠেকাতে নিজ পরিবারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোয় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইন্টারন্যাশনাল উইমেন অব কারেজ পুরস্কার পান বাংলাদেশী তরুণী শারমিন আখতার। ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের হাত থেকে পুরস্কার নেন শারমিন।
পুরস্কার নিয়ে দেশে ফেরার পর থেকেই বদলে গেছে শারমীনের জীবন। কয়েক দিন আগেও তাকে তেমন কেউ চিনতো না। সাহসিকতা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তাকে এনে দিয়েছে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি। শারমিনের স্বপ্ন এখন নারী শিক্ষার উন্নয়ন আর বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।   
প্রতিবেশীরাও খুশি শারমিনের সাহসী পদক্ষেপে। সহপাঠি, বন্ধুরা বলছে, শারমিনের ঘটনা তাদেরকেও সচেতন করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শারমিনকে সহযোগিতা করতে পেরে তারা গর্বিত। বর্তমানে শারমিনের মা গোলনূর বেগম এবং অন্য আসামি স্বপন খলিফা জামিনে রয়েছেন।
২০১৫ সালে নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় শারমিনের মা জোর করে তাকে বিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়। পরে শারমিন এক বন্ধুর সহযোগিতায় থানায় গিয়ে মা ও যার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিলো, সেই ছেলের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে।
শারমিন এখন তার দাদি দেলোয়ারা বেগমের সঙ্গে থাকে। তার বাবা কবির হোসেন সৌদি প্রবাসী। রাজাপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে সে।