ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ফেনীতে কমছে করোনা শনাক্তের হার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৫২ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ রবিবার

ফেনী’র মানচিত্র

ফেনী’র মানচিত্র

ফেনীতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার কমেছে। জেলায় সেপ্টেম্বরের চলতি সাপ্তাহ নাগাদ এ ভাইরাসে শনাক্তের হার নিম্নমুখী হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মীর হোসাইন দিগন্ত। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১২টায় ফেনী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা পর্যায়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও প্রতিরোধসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তিনি এ তথ্য জানান। এতে সভাপতিত্ব করেন ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান।

তিনি বলেন, ‘গত ছয় দিনে ফেনীতে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৬৭ এবং করোনা শনাক্ত ৩৭ জন। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ২৬১ টি নমুনার মধ্যে ৯২জন করোনা আক্রান্ত ছিলেন। একই মাসের শেষ সপ্তাহে ৩৮৭ নমুনায় করোনা শনাক্ত হন ৫৮জন।’

তিনি জানান, গত এক মাসে নমুনার পরীক্ষার তুলনায় ধীরে ধীরে শনাক্তের হার কমছে। জেলায় এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৭২০ জন। মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৮ হাজার ৮৭৯টি। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ জন। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি প্রাথমিক শারীরিক সমস্যা ঘরে বসেই চিকিৎসা নিচ্ছে।

করোনা চিকিৎসায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ফেনী জেনারেল হাসপাতালের সক্ষমতা প্রসঙ্গে হাসপাতালর তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল খায়ের মিয়াজী জানান, ফেনীর সীমানাবর্তী অন্যান্য জেলা হতে রোগীর একটা চাপ এখানে রয়েছে। ফলে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩০ বেডের স্থলে ১৫০জন রোগীর সেবায় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছিল। চলতি বছরের জুন মাসের শেষের দিকে সর্বোচ্চ ১২০ জন রোগী এখানে ভর্তি ছিল। আজ ২৯জন রোগী আইসোলেশনে ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে ৮ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ।

তত্ত্বাবধায়ক জানান, গত এক মাসে আইসোলেশনে রোগীর সংখ্যা ২৫ হতে ৪০ এর মধ্যে ওঠানামা করছে। তাই আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৫০ শয্যায় নামিয়ে আনা হবে। প্রয়োজন হলে পরে বাড়ানো যাবে। আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের টিম কন্ট্রোল রুম হতে কোভিড সংক্রান্ত সবধরনের তথ্য সংরক্ষণ ও পর্যবেক্ষণ করছে।

হাসপাতালে করোনা রোগীর সেবা বিষয়ে তিনি বলেন, ৪০ টি বেডে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সেবা রয়েছে। ম্যানুফোল্ড অক্সিজেন সিলিন্ডার রয়েছে ১০০টি এবং ২৬০টি বেডসাইড সিলিন্ডার রয়েছে। ২১টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর রয়েছে। এ সংযুক্তির ফলে কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা অনেক সহজ হয়েছে। এছাড়া ৩টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে।

এ মুহূর্তে লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংক জরুরী। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে শীঘ্রই এর কাজ শুরু হবে। সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোছা. সুমনী আক্তার, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকমসহ জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও করোনা প্রতিরোধ জেলা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। (বাসস)

এমএস/