ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

উপনির্বাচনে তৃণমূলের মতামতে মনোনয়ন (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৩ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ রবিবার

সংসদ সদস্যদের মৃত্যুতে ৫টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে তৃণমূলের মতামত, এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা এবং জনপ্রিয়তা বিবেচনায় দলীয় মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে। নীতি নির্ধারকরা বলছেন, মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধেই দলের অবস্থান। বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন উৎসবমূখর হবে বলেই মনে করেন তারা।

সম্প্রতি ৩টি শূন্য আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আরও ২ আসনের তফসিল শিগগিরই। এই উপনির্বাচনকে ঘিরে মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে তৎপর ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতারা। 

৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন ১৪১ জন। এর মধ্যে ঢাকা-১৮ আসনে সর্বোচ্চ ৫৬ জন মনোনয়ন চান। সিনিয়র নেতারা বলছেন, কিছু মানদণ্ডের ভিত্তিতেই মনোনয়ন নির্ধারণ করা হচ্ছে।

এবিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান বলেন, ‘মনোনয়নের ক্ষেত্রে আমরা তিন-চারটা জিনিস দেখি। প্রথম ও প্রধান হচ্ছে প্রার্থীর নির্বাচনী এলাকায় জনপ্রিয়তা, দ্বিতীয়ত, প্রার্থীর সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত কার্যকলাপ এবং তৃতীয়ত, দায়িত্ব পালনে সক্ষমতা, তিনি কোন ধরনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত আছেন কিনা?’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘আমরা সব সময় চাই জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তাদের দায়িত্ব পালন করুক। সে হিসেবে এবার যে উপনির্বাচন হচ্ছে আমরা আশা করি জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এবং তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন।’

সম্প্রতি করোনার অজুহাতে বগুড়া-১ এবং যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় বিএনপি। তবে আসছে নির্বাচনে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণকে স্বাগত জানান আওয়ামী লীগ নেতারা। 

ফারুক খান বলেন, ‘তাদেরকে রাজনীতি করতে হলে গণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচনের পথেই আসতে হবে। এই কথা বিবেচনা করে যদি তারা উপনির্বাচনগুলোতে ফেরত আসে তাহলে এটা বিএনপির জন্য একটা ভাল লক্ষণ এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্যও এটা ভাল লক্ষণ বলে আমি মনে করি।’

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘বিএনপি আসলে এসব নির্বাচন করার জন্য কিংবা জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য নির্বাচনে অংশ নেয় না। তাদের মূল লক্ষ্যই থাকে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং নির্বাচনকে বিতর্কিত করার। এবারের উপনির্বাচনেও যদি সেই ধরনের মানসিকতা নিয়ে বিএনপি অংশ নেয় সেটা হবে রাজনীতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।’

অংশগ্রহণমূলক উপনির্বাচনে গণতন্ত্রের ধারা অক্ষুন্ন থাকবে বলেই আশাবাদী আওয়ামী লীগ নেতারা। 

এএইচ/এসএ/