ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

বিশ্বে আক্রান্ত ও সুস্থতায় শীর্ষে ভারত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৩৪ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ রবিবার

বিশ্বব্যাপী জেঁকে বসা করোনার প্রাণকেন্দ্র এখন দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। যেখানে নতুন করে সহস্রাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। একইসঙ্গে গত একদিনে ৯৪ হাজারের বেশি করোনাক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। বেড়েছে সুস্থতা। যার অধিকাংশই মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, অন্ধুপ্রদেশ ও রাজধানী দিল্লির বাসিন্দা। বর্তমানে আক্রান্ত ও সুস্থতার হারে শীর্ষে মোদির দেশ। 

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ হাজার ৩৭২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭ লাখ ৫৪ হাজার ৩৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। 

অন্যদিকে, গত একদিনে প্রাণহানি ঘটেছে ১ হাজার ১১৪ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৭৮ হাজার ৫৮৬ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫ কোটি ৫২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ লাখের বেশি।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। এদিকে বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত। 

এদিকে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার মানুষের।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে করোনার শিকার ৫ লাখ ৯৫ হাজারের অধিক মানুষ। তবে, প্রাণহানি কিছুটা কম এখানে। যার সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার।  

তিনে থাকা তামিলনাড়ুতে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৯৭ হাজারের বেশি।  

চারে থাকা কর্ণাটকে করোনার ভুক্তভোগী ৪ লাখ ৪৭ হাজারের অধিক মানুষ। যেখানে প্রাণহানি ৭ হাজার পেরিয়েছে। 

উত্তর প্রদেশে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ছাড়িয়েছে। সেখানে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে ভুগে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজারের বেশি মানুষ। 

আর রাজধানী দিল্লিতে করোনা হানা দিয়েছে এখন পর্যন্ত ২ লাখের বেশি মানুষের দেহে। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ৭শ’ জন। বর্তমানে সেখানে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে করোনার দাপট। 

সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। 

আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতা লাভ করেছেন ৭৮ হাজার ৩৯৯ জন রোগী। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা বেড়ে ৩৭ লাখ আড়াই হাজারে পৌঁছেছে। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৯ লাখ ৭৩ হাজার ১৭৫ জন।
এআই/এসএ/