ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ঢাকা-দিল্লির সংযোগ বাংলাদেশ ও উত্তর-পূর্ব ভারতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে: শ্রিংলা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৫৭ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ রবিবার | আপডেট: ০৫:১৪ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ রবিবার

হর্ষবর্ধন শ্রিংলা

হর্ষবর্ধন শ্রিংলা

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সংযোগ ব্যবস্থা বাংলাদেশ ও উত্তর-পূর্ব ভারত উভয়ের ওপর সরাসরি ও ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। তিনি বলেন, ভারতের তথাকথিত অবহেলিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির বীজ নিহিত আছে প্রতিবেশী বাংলাদেশের সহযোগিতার ওপরই।

তিনি আরও বলেন, দুই দেশের মধ্যকার ১৯৬৫ সালের আগের ছয়টি রেল সংযোগের মধ্যে চারটিকে আবার চালু করা হয়েছে এবং বাকি দুটি চালুর কাজ চলছে। 

শ্রিংলা জানান, পশ্চিমবঙ্গের হলদিবাড়ি ও বাংলাদেশের চিলহাটির মধ্যে নির্মাণাধীন রেল সংযোগ বাংলাদেশ হয়ে দার্জিলিং মেইলের পুরোনো শিলিগুড়ি-শিয়ালদহ পথকে জাগিয়ে তুলবে।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের আখাউড়া এবং ত্রিপুরার আগরতলার মাঝে নতুন একটি রেলপথের নির্মাণ কাজ চলছে। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘পণ্য ও মানুষের আন্ত-সীমান্ত যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে আমরা ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন করছি’।

সম্প্রতি উত্তর-পূর্ব ভারতের কর্মসংস্থান ও দক্ষতা নিয়ে এক ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে শ্রিংলা এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে সীমান্তবর্তী ভারতীয় রাজ্যগুলো থেকে ১১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে।

ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইনের মাধ্যমে হাইড্রোকার্বন পরিবহন করা হবে বলেও জানান তিনি।

সম্প্রতি এক ওয়েবিনারে এইভাবে একের পর এক দৃষ্টান্ত দিয়ে হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বুঝিয়ে দিয়েছেন- ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভবিষ্যৎ কীভাবে বাংলাদেশের সহযোগিতার ওপর নির্ভর করেছে। নিজের ভাষণে তিনি জাপানের সহযোগিতার প্রসঙ্গও এনেছেন। কিংবা মিয়ানমার-ভুটান-নেপালও কীভাবে এই 'বাংলাদেশ মডেল' প্রয়োগ করতে পারে সে কথাও উল্লেখ করেছেন। তবে তার বক্তব্যের সিংহভাগ জুড়েই ছিল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে বহুচর্চিত সফর সেরে সদ্যই ফিরেছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। সেই সফরের উদ্দেশ্য কী, অর্জনই বা কী - তা নিয়ে দুই দেশের সংবাদমাধ্যমে জল্পনা ও বিতর্কও কম হয়নি। কিন্তু সেই সফরের মাত্র কয়েকদিনের মাথায় মিস্টার শ্রিংলা একটি সেমিনারের কি-নোট ভাষণে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ব্যক্ত করলেন এসব কথা।

দীর্ঘদিন ঢাকায় ভারতের রাষ্ট্রদূত পদে থাকার সুবাদে বাংলাদেশের সঙ্গে তার যে আলাদা একটা কানেকশন, সে কথাও উল্লেখ করতে ভোলেননি মিস্টার শ্রিংলা। পররাষ্ট্র সচিবের এই দীর্ঘ ভাষণে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ইতিবাচক ইঙ্গিতই দেখছেন দিল্লির পর্যবেক্ষকরা।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক বীণা কুকরেজাও মনে করেন- হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সাম্প্রতিক ঢাকা সফর যে সর্বতোভাবে সফল ছিল এই ভাষণও তার একটা প্রমাণ।

এনএস/