ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পেঁয়াজ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে বাণিজ্যমন্ত্রীর আহ্বান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৩৭ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার

পেঁয়াজ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য দেশের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘দেশে বর্তমানে প্রায় ছয় লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি হচ্ছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। পেঁয়াজ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হোন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত পেঁয়াজ কিনবেন না।’ 

আজ বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে পেঁয়াজ মজুত, সরবারহ ও মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে আগামী মৌসুম পর্যন্ত ১০ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। তার মধ্যে আমাদের প্রায় ছয় লাখ টন পেঁয়াজ আছে। ঘাটতি চার লাখ টন। ভারত হঠাৎ পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় একটু সমস্যা হয়েছে। অন্য মার্কেট থেকে পেঁয়াজ আনার চেষ্টা করছি। আমরা আগামী ৩০ দিন সময় পেলে অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আনব। তখন আর তেমন সমস্যা হবে না।’ তুরস্ক, মিশর ও নেদারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে বলে মন্ত্রী জানান।

ভারত থেকে এলসির মাধ্যমে ক্রয়কৃত পেঁয়াজ যেগুলো সীমান্ত পার হওয়ার অপেক্ষায় আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সেগুলো দুই একদিনের মধ্যে দেশে আসবে। টিসিবি এবার বড় ধরনের পেঁয়াজের মজুত গড়ে তোলার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের আগেই আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে এগুলো ক্রয় করা হয়েছিল। আশা করা যাচ্ছে এক মাসের মধ্যে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে। ভোক্তারা পেঁয়াজ ব্যবহারে একটু সাশ্রয়ী হলে কোনো সমস্যা হবে না।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত পেঁয়াজ দেওয়া বন্ধ করায় অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিয়েছে। ভোক্তারাও বেশি করে পেঁয়াজ কিনছেন। এটি একটি প্যানিক বায়িং তৈরি করছে। এটি তৈরির দরকার নেই।’ অসাধু ব্যবসায়ীদে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্ত্রী হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় দেশে এবার প্রায় এক লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বেশি উৎপাদন হয়েছে। আগে থেকেই পেঁয়াজের আন্তর্জাতিক বাজারের প্রতি নজর রাখা হচ্ছিল। সে কারণে টিসিবির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানির ব্যবস্থা করা হয় এবং গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ টাকা মূল্যে দেশব্যাপী খোলাবাজারে বিক্রি শুরু করা হয়, যা আগামী মার্চ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, অতিরিক্ত সচিব শরিফা খান, অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. ওবায়দুল আজম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রি. জে. মো. আরিফুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

এমএস/এসি