ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ভিডিও

আবেদন না করা হাসপাতাল-ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২৫ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার | আপডেট: ১০:৩৮ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার

অনলাইনে আবেদন না করা হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো সুনির্দিষ্ট কারণ দেখাতে না পারলে আইনি ব্যবস্থা নেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। হাসপাতাল বিভাগের পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন জানান, সন্তোষজনক জবাব না পেলে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে। সময়সীমা বেঁধে দেয়ায় এক মাসের ব্যবধানে বৈধ লাইসেন্সের সংখ্যা ১ হাজার বেড়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লাইসেন্সপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫ হাজার ২১৩টি।

দেশে করোনা সংক্রমণের ৬ মাস পেরিয়েছে। মহামারির এই কঠিন সময়ে স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম-দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনার চিত্র প্রকাশ্যে আসে। অনিয়ম খতিয়ে দেখতে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযানে নামে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অনলাইনে লাইসেন্স আবেদনের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়। আবেদন করার সর্বশেষ দিন ছিল ২৩ আগস্ট। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকা অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে নতুন লাইসেন্সের জন্য ১২ হাজার ৯২৬টি ও নবায়নের জন্য ৪ হাজার ১৭০টি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার আবেদন করে। পরিদর্শনের অপেক্ষায় ৩ হাজার ১৬৮ টি প্রতিষ্ঠান। আর শর্ত পূরণ করতে না পারায় আবেদন ঝুলে আছে ৩ হাজার ৫৭০ টি প্রতিষ্ঠানের। লাইসেন্স পেয়েছে ৫ হাজার ২১৩টি। এর মধ্যে হাসপাতাল ১ হাজার ৮৩৩, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ৩ হাজার ৩১৯ ও ৬১টি ব্লাড ব্যাংক।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিঞা বলেন, ‘এক মাসের সময়ের ব্যবধানে আমাদের কাছে প্রায় ৩ হাজার আবেদন নতুন পড়েছে। লাইসেন্স দিয়েছি ৫ হাজার ২১৩টি। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।’
 
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, যেসব হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার অনলাইন আবেদন করেনি তাদেরকে গত পহেলা সেপ্টেম্বরে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। ডা. মো. ফরিদ হোসেন মিঞা বলেন, ‘যারা অনলাইনে প্রবেশ করে নাই তাদের হাসপাতাল, ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সিভিল সার্জন ও বিভাগীয় কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ 

স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে কোন ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান হাসপাতাল বিভাগের পরিচালক।

এমএস/