ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ভারতে সংক্রমণ বাড়লেও স্বস্তি সুস্থতায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৭ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ শুক্রবার

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে অনেকটা নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যাচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। প্রতিদিনই ৯০ হাজারের বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হচ্ছে। তারপরও কমছে উদ্বেগ। কেননা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে যেখানে আক্রান্তের তুলনায় সুস্থতার হার অনেকটা কম, সেখানে বিপরীত চিত্র মোদির দেশে। কাঙ্খিত সুস্থতার হারে অনেকটা স্বস্তিতে দেশটি। যার সংখ্যা দুই দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি। 

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৬ হাজার ৪২৪ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৫২ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে। 

অন্যদিকে, গত একদিনে প্রাণহানি ঘটেছে ১ হাজার ১৭৪ জনের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৮৪ হাজার ৩৭২ জনের মৃত্যু হলো করোনায়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৬ কোটি ১৫ লাখ ৭২ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ লাখ ৬ হাজারের বেশি।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে সর্বাধিক সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। তারপরেই, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, দিল্লি, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং তেলেঙ্গানা। বিশ্ব তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনাক্রান্ত দেশ হলো ভারত। 

এদিকে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ৪৫ হাজারের বেশি। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩১ হাজার ৩৫১ জন মানুষের।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা অন্ধ্রপ্রদেশে করোনার শিকার ৬ লাখ ছাড়িয়েছে। তবে, প্রাণহানি কিছুটা কম এখানে। যার সংখ্যা ৬ হাজার ছুঁই ছুঁই। 

তিনে থাকা তামিলনাড়ুতে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আর আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে সোয়া ৫ লাখের বেশি। 

চারে থাকা কর্ণাটকে করোনার ভুক্তভোগী ৫ লাখ ৯৪ হাজারে বেশি মানুষ। যেখানে প্রাণহানি ৭ হাজার ৬২৯ জন। 
উত্তর প্রদেশে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ছাড়িয়েছে। সেখানে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে ভুগে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ৭৭১ জন মানুষ। 

আর রাজধানী দিল্লিতে করোনা হানা দিয়েছে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৩৪ হাজারের বেশি মানুষের দেহে। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ হাজার ৮৭৭ জন। বর্তমানে সেখানে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে করোনার দাপট। 

সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতে প্রথমদিকে সামাজিক দূরত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন লকডাউনের কড়াকড়ি নেই। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হওয়ায় বাজার-হাট, গণপরিবহনে বেড়েছে লোকের ভিড়। বেড়েছে একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনাও। তাই, প্রতিদিনই আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। 

আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতা লাভ করেছেন ৮৭ হাজার ৪৭২ জন রোগী। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা বেড়ে ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫৫১ জনে পৌঁছেছে। দেশটিতে বর্তমানে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৪ জন।

এআই//এমবি