ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

সুপার ওভারে পাঞ্জাবকে হারালো দিল্লি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৩ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ সোমবার

আইপিএলের ত্রয়োদশ আসরের দ্বিতীয় দিনই সুপার ওভারের রোমাঞ্চ দেখলো দর্শক। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচটি গড়িয়েছিল সুপার ওভারে। যদিও সুপার ওভারটা পানসে করে দিয়েছে দিল্লির বোলার কাগিসু রাবাদা। যার ফলে অনায়াসে জয় পেয়েছে তারা।

রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ৮ উইকেটে ১৫৭ রান তোলে। জবাবে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ব্যাটে ৮ উইকেট হারিয়ে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবও ১৫৭ রান করে। এরপর ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে পাঞ্জাব আগে ব্যাট করতে নেমে ৩ বলে ২ রান করে অলআউট হয়। জবাবে ৩ বলে কোনো উইকেট না হারিয়েই সহজ জয় তুলে নেয় দিল্লি।

এর আগের লড়াইটা মার্কাস স্টয়নিস বনাম মায়াঙ্ক আগারওয়ালের। স্টয়নিসের ব্যাটে এক রকম ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘুরি দাঁড়িয়েছিল দিল্লি। ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলকে এই অজি তারকা এনে দিয়েছিলেন লড়ার পুঁজি। আর আগারওয়াল স্রোতের বিপরীতে পাঞ্জাবকে টেনে নিয়ে গেছেন। আবার ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে তার আউটেই পাঞ্জাবের জয় হাতছাড়া হয়ে যায়।

আগারওয়াল ৬০ বল খেলে ৭টি চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৮৯ রান। তার ব্যাটে ভর করে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল পাঞ্জাব। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে চার মেরে ম্যাচ টাই করেন আগারওয়াল। চতুর্থ বলে কোনো রান নেননি, মার্কাস স্টয়েনিসের পঞ্চম বলে আউট হয়ে যান তিনি। পরের বলে ক্রিস জর্ডান আউট হলে ৮ উইকেটে ১৫৭ রানে শেষ হয় পাঞ্জাবের ইনিংস। আর ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। 

দলটির পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান আসে অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের ব্যাট থেকে। এছাড়া ২০ রান করেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। আর দিল্লির হয়ে ২টি করে উইকেট নেন কাগিসু রাবাদা, রবীচন্দ্রন অশ্বিন ও মার্কাস স্টয়েনিস।

মোহাম্মদ শামির দুরন্ত বোলিংয়ে দিল্লি ছিল কোণঠাসা। ভালো ব্যাট করতে পারেনি কেউই। মিডল অর্ডারে তিনজন কেবল রান করেন। তার মধ্যে স্টয়েনিস ২১ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৩ করেন। ৩৯ রান করেন অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ার। আর ৩১ রান আসে রিশাব পন্তর ব্যাট থেকে। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেনি।

বল হাতে পাঞ্জাবের মোহাম্মদ সামি ৩টি ও শ্যানন কটরেল ২টি করে উইকেট নেন।

স্টয়নিস মাত্র ২০ বলে ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। পরে বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট। আয়ারওয়ালের মহাগুরুত্বপূর্ণ উইকেটটিও তার শিকার। তাই ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।
এএইচ/