ঢাকা, বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৩ ১৪৩১

ব্রাজিলে আগের দিনের তুলনায় দ্বিগুণ আক্রান্ত ও মৃত্যু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৯ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার

বিপর্যস্ত ব্রাজিলে আবারও দাপট বেড়েছে করোনার। গত ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের তুলনায় দ্বিগুণ আক্রান্ত ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে লাতিন আমেরিকার দেশটিতে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ লাখ ছুঁতে চলেছে। প্রাণহানি বেড়ে ১ লাখ ৩৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। অবস্থার অবনতি হয়েছে এ অঞ্চলের পেরু, কলম্বিয়া, চিলি ও আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলোতেও। সুস্থতা লাভ করেছেন আরও অর্ধ লক্ষাধিক রোগী। 

ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ হাজার ২৫২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন যেখানে হয়েছিল সাড়ে ১৫ হাজার। এ নিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৫ লাখ ৯৫ হাজার ৩৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৮০৯ জন। আগের দিন মারা গিয়েছিল ৪৫৫ জন। এতে করে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৯ জনে ঠেকেছে।

অপরদিকে সুস্থতা লাভ করেছেন আরও ৫৮ হাজার ৪২৮ জন। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা বেড়ে ৩৯ লাখ ৪৫ হাজার ৬২৭ জনে পৌঁছেছে।  

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশটির সাও পাওলো শহরে ৬১ বছর বয়সী ইতালি ফেরত এক ব্রাজিলিয়ানের শরীরে ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই অবস্থা ক্রমেই সংকটাপন্ন হতে থাকে। যেখানে আক্রান্ত ও প্রাণহানির তালিকায় অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। 

তবে শুধু ব্রাজিলই নয়, করোনার ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়েছে লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও। যেখানে পূর্বের তুলনায় ভাইরাসটির প্রকোপ অনেকটা বেড়েছে। এমন অবস্থায় করোনাকে বাগে আনতে দেশগুলোর সরকার মানুষকে ঘরে রাখার চেষ্টা করছে। তবে অর্থনীতির চাকা সচল থাকা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ফলে সংকটাবস্থার মধ্য দিয়ে ব্রাজিল, পেরু, চিলি, ইকুয়েডর ও আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলোতে অনেক কিছুই চালু রয়েছে। 

ব্রাজিলে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে। অপরদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বিতীয় দফায় করোনা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ব্রাজিল ভাইরাসটি এখন প্রধানকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। একইসঙ্গে এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোর মধ্য পেরু, কলম্বিয়ায়, আর্জেন্টিনা ও  চিলিতেও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ভাইরাসটি।  

এর মধ্যে পেরুতে আক্রান্ত ৭ লাখ ৭৭ হাজারের বেশি। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩১ হাজার ৫৭৫ জন। 

কলম্বিয়ায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ৭৭ হাজারের বেশি মানুষের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজার ৫৭০ জনের। 

আর্জেন্টিনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৫২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ হাজার ৯৫২ জন ভুক্তভোগী। 

এছাড়া চিলিতে করোনা হানা দিয়েছে ৪ লাখ ৪৮ হাজারের বেশি মানুষের দেহে। এর মধ্যে ১২ হাজার ৩২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।  
এআই/এসএ/