ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

আশ্রায়ণ প্রকল্পে নিম্নমানের উপকরণ (ভিডিও)

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:৫৩ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার

ঝিনাইদহে গৃহহীনদের বাসগৃহ নির্মাণে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে ঘর নির্মাণের সময় তা ধসে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ফলে চরম আতঙ্কে দিন পার করছে অসহায় পরিবারগুলো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিম্নমানের এই কাজ করাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

‘যার জমি আছে ঘর নেই, তার জমিতে গৃহ নির্মাণ’ উপ-খাতের আওতায় শৈলকুপার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ৩৭টি ঘর নির্মাণ করা হয়। আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে বরাদ্দ দেয়া হয় ৪৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। 

শৈলকুপা পৌরসভা এলাকার হাবিবপুর গ্রাম। প্রকল্পের আওতায় এ গ্রামে একটি ঘর পেয়েছেন ভ্যানচালক আরব আলী। বসবাসের সময় দেয়াল ধসে আহত হন তিনি, তার স্ত্রী ও সন্তান। এছাড়া নির্মাণ কাজের সময়ও দেয়াল ধসে আহত হয়েছিলেন এক নির্মাণ শ্রমিক।

ভুক্তভোগীরা জানান, ভেঙে যদি গাঁয়ের উপর পড়ে যায়, এই ঘরের জন্য যদি জীবন চলে যায় তাহলে সেই ঘরের আমার দরকার নাই। আরেকজন জানান, ঘরের খুঁটি নড়তাছে তাই এই জায়গায় থাকতে ভয় পাচ্ছি।

কোন কোন ঘর হস্তান্তরের আগেই খুঁটিগুলো নড়বড়ে হয়ে গেছে। নিম্নমানের বালি, রড আর সিমেন্ট দেওয়ায় দেয়াল ধসে পড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।

এখান মানুষরা জানান, সিমেন্ট দিয়েছে কম ইট দিয়েছে দুই নম্বর। কোন রকমে মিস্ত্রিরা করে গিয়েছে। এখন খুঁটিগুলো নড়তাছে, কোথাও কোথাও জিআই তার দিয়ে বেঁধে রেখেছে। এই অবস্থায় ছেলেপেলের উপর কখন পড়ে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ঝড়ের ভয়ের জন্যই এই ঘর নেয়া। কিন্তু ঝড় ছাড়াই যদি ভয় করে তাহলে এই ঘর নিবো কেন?

নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে ঘর তৈরি করায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও।

শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুন্নবি কালু জানান, এই ঘরগুলোর মান খুবই নিম্নমানের। এর ফলে এলাকার মানুষের মধ্যে বিশেষ করে আমাদের দলের (আওয়ামী লীগের) ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।

তবে এ ব্যাপারে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

এএইচ/এমবি