ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

ব্রাজিলে করোনার উন্নতি নেই, পার্শ্ববর্তী দেশগুলো অস্থিতিশীল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৭ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার

বিপর্যস্ত ব্রাজিলে করোনা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। সংক্রমণ কখনো কমছে, আবার বাড়ছেও। যেখানে এখন পর্যন্ত ৪৬ লাখের বেশি মানুষ ভাইরাসটির শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে পৃথিবী ছেড়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি ভুক্তভোগী। আশার আলো নেই এ অঞ্চলের পেরু, কলম্বিয়া, চিলি ও আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলোতেও। লাতিন আমেরিকার এসব দেশে আগের তুলনায় সুস্থতা বাড়লেও থামছে না প্রকোপ। ফলে দুশ্চিন্তা বাড়ছেই।

ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যমতে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ হাজার ৪৪৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৬ লাখ ২৭ হাজার ৭৮০ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৯০৬ জন। এতে করে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬৫ জনে ঠেকেছে।

অপরদিকে সুস্থতা লাভ করেছেন আরও ৪৬ হাজার ২৫৯ জন। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা বেড়ে ৩৯ লাখ ৯২ হাজার ৮৮৬ জনে পৌঁছেছে।  

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশটির সাও পাওলো শহরে ৬১ বছর বয়সী ইতালি ফেরত এক ব্রাজিলিয়ানের শরীরে ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই অবস্থা ক্রমেই সংকটাপন্ন হতে থাকে। যেখানে আক্রান্ত ও প্রাণহানির তালিকায় অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। 

তবে শুধু ব্রাজিলই নয়, করোনার ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়েছে লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোতেও। যেখানে পূর্বের তুলনায় ভাইরাসটির প্রকোপ অনেকটা বেড়েছে। এমন অবস্থায় করোনাকে বাগে আনতে দেশগুলোর সরকার মানুষকে ঘরে রাখার চেষ্টা করছে। তবে অর্থনীতির চাকা সচল থাকা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ফলে সংকটাবস্থার মধ্য দিয়ে ব্রাজিল, পেরু, চিলি, ইকুয়েডর ও আর্জেন্টিনার মতো দেশগুলোতে অনেক কিছুই চালু রয়েছে। 

ব্রাজিলে আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে। অপরদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বিতীয় দফায় করোনা আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর ব্রাজিল ভাইরাসটি এখন প্রধানকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। একইসঙ্গে এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোর মধ্য পেরু, কলম্বিয়ায়, আর্জেন্টিনা ও  চিলিতেও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ভাইরাসটি।  

কলম্বিয়ায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি মানুষের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৪ হাজার ৭৪৬ জনের। 

এর মধ্যে পেরুতে আক্রান্ত ৭ লাখ ৮২ হাজার ৬৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৩১ হাজার ৮৭০ জন। 

আর্জেন্টিনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৬৫ হাজার ছুঁই ছুঁই। প্রাণ হারিয়েছেন ১৪ হাজার ৩৭৬ জন ভুক্তভোগী। 
এছাড়া চিলিতে করোনা হানা দিয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষের দেহে। এর মধ্যে ১২ হাজার ৩৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।  

এআই/এমবি