ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

প্রণোদনার সুবিধা পাচ্ছে না ক্ষুদ্র খাত (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৮ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার

করোনা মোকাবেলায় ছোট-বড় সব খাতের জন্য ১ লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছে সরকার। ইতিমধ্যেই বড় উদ্যোক্তারা প্রণোদনার অর্থের বেশিরভাগই নিতে পেরেছেন। তবে উল্টো চিত্র ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে। ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও ব্যাংকগুলোর অনীহা ও প্রক্রিয়াগত জটিলতায় প্রণোদনার সুবিধা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারছেন না তারা। তবে বিসিক বলছে, ঋণ বিতরণ তদারকিতে মাঠ পর্যায়ে কমিটি কাজ করায় ধীরে ধীরে সুফল মিলছে।

করোনা সংকট পুরোপুরি না কাটলেও কর্মব্যস্ততার এই চিত্র রাজধানীর ধোলাই খালের। গাড়ি, ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের পুরাতন যন্ত্রাংশ আলাদা করার পাশাপাশি নতুন যন্ত্রাংশও তৈরি হচ্ছে এখানে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার কারণে বেশ কয়েক মাস বন্ধ ছিল ব্যবসা। এখন চালু হলেও কেনাবেচা খুবই কম। তবে ক্ষতি পোষাতে প্রণোদনার জন্য ব্যাংকে আবেদন করেননি অনেকেই।

স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, এই মন্দা কাটিয়ে উঠতে হলে বিদেশি প্রোডাক্টের উপর সরকারের শুল্ক ছাড় দিতে হবে। এখন কেনাবেচা ৪০% আছে বাকি ৬০% মাইনাস হয়েছে। ঋণের ব্যাপারে আমাদেরকে ব্যাংক তো কিছু বলে না। আমরা তো ঋণ করেই ব্যবসা চালাই। আদেশ শুধু খাতা-কলমেই থাকে বাস্তবে থাকে না।

ঋণ অনুমোদনে অনেক কাগজপত্র চায় ব্যাংক। তাই প্রণোদনার আওতায় ঋণ পেতে নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের আগ্রহ আরও কম।  

উইম্যান অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাসের সভাপতি নাসিমা আক্তার নিশা বলেন, যারা করেছে তাদের মোটামুটি কাগজপত্র আছে। কিন্তু এদের কাছ থেকে খোঁজখবর নিয়ে বাকী উদ্যোক্তরা (যাদের কাগজপত্র নেই) তারা আর সাহস করে নাই। কাগজপত্র ঠিক করতে সময়-টাকা সবই লাগে। এই সব সমস্যা কারণে তারা যেতে চায় না।

তবে বিসিক বলছে, আগস্ট পর্যন্ত এ খাতে চলতি মূলধন বাবদ ২ হাজার ৬৩১ কোটি টাকার ঋণ ছাড় করা হয়েছে। আর অনুমোদন হয়েছে ৪ হাজার ২৮০ কোটি টাকা।

বিসিক চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হোসেন বলেন, প্রণোদনা ঘোষণা করার পর এটা বাস্তবায়ন হলো কি হলো না এটার জন্য কোনও মনিটরিং বডি নেই। এবার বিসিকের নেতৃত্বে শিল্প মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে প্রতিটি জেলায় ঋণ বিতরণ কমিটি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ইতিমধ্যে ৭ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

এদিকে, প্রণোদনা প্যাকেজের বাইরে আরও ৬০০ কোটি টাকার তহবিল চেয়েছে বিসিক। এই তহবিল পেলে প্রান্তিক পর্যায়ে কম সুদে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা যাবে বলে জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান।

এএইচ/এমবি