ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

পানিবন্দী প্রায় ১০ হাজার মানুষ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:২১ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার

তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বেড়ে রংপুরের ৩ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এদিকে নোয়াখালীর হাতিয়ায় বন্যার পানি নেমে গেলেও এখনও দুর্ভোগে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের ৫ হাজার পরিবার। অর্থের অভাবে অনেকেই ঘরবাড়ি মেরামত করতে পারছেন না। স্বেচ্ছাশ্রমে ধরলা নদীর তীব্র ভাঙন ঠেকাচ্ছেন লালমনিরহাটের দ্বীপচর ফলিমারীবাসি।

অবিরাম বৃষ্টি আর উজানের ঢলে, ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। তিস্তার জলে প্লাবিত হয়েছে রংপুরের গঙ্গাচড়া, পীরগাছা ও কাউনিয়ার নিন্মাঞ্চলসহ বেশকিছু চর। এতে পানিবন্দি হয়েছে ২৫ গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষ।

নোয়াখালীতে পানির চাপে বেড়ি বাঁধ ধসে ভেঙ্গে গেছে ঘরবাড়ি, বিলীন হয়েছে মেঘনায়। নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ, হরণী, চানন্দী, সুখচর ও সোনাদিয়া ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের মানুষ এখন আশ্রয়হীন। টাকার অভাবে অনেকে বাড়িঘর মেরামত করতে পারছেন না।

ভুক্তভোগীরা জানান, আমরা কোন রকমে ভাঙাচোড়া ঘরে জোড়াতালি দিয়ে আছি। এই অবস্থায় সরকারের সহযোগিতার দিকে চেয়ে আছি। এলাকায় কোন রাস্তা নেই, বন্যার বাড়িতে সব ভেঙে নিয়ে গেছে। দুর্গতদের ঘর তৈরির আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। 

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম বলেন, মুজিববর্ষে কেউ ঘরহীন থাকবে না। যাদের জরাজীর্ণ ঘর তাদের সবাইকে সরকার ঘর করে দেবে। এই দ্বীপে প্রায় ৮ লাখ মানুষের বসবাস। দ্রুত পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন নদী পাড়ের এসব মানুষ। এদিকে স্বেচ্ছাশ্রমে ধরলা নদীর ভাঙন ঠোকানোর চেষ্টা করছেন লালমনিরহাটের দ্বীপচরের বাসিন্দারা। বালুভর্তি বস্তা আর বাঁশের পাইলিং দিয়ে গ্রাম রক্ষার চেষ্টা করছেন তারা। 

 

এএইচ/এসি