ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৪ ১৪৩১

স্মৃতিধন্য গ্রাম বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণের দাবি (ভিডিও)

নাটোর প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ০৩:৪৫ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ শুক্রবার | আপডেট: ০৩:৪৭ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ শুক্রবার

৬০ এর দশকের এক বর্ষায় পানসিতে করে নাটোরের চলনবিলের তাজপুরে এসেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সে সময় স্মৃতিধন্য এই গ্রামের মানুষদের সাথে অন্তরঙ্গ সময় কাটিয়েছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর সেই ভ্রমণ-স্মৃতি সংরক্ষণে দাবি গ্রামবাসীর। সেইসাথে গ্রামটি তার নামে নামকরণেরও দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, বঙ্গবন্ধুর প্রিয় সহচর, সে সময়ের বৃহত্তর রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত সাংসদ আশরাফুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি চলনবিলের গ্রাম বিল তাজপুরে। তাই প্রায়ই তিনি আসতেন এখানে। সেদিন বঙ্গবন্ধু এখানকার মানুষদের সাথে কথা বলেছেন, গল্প করে সময় কাটিয়েছেন। গ্রামের সব বাড়ি থেকে সেদিন বাটিভরা তরকারি পাঠানো হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর জন্য। 

তবে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য তাজপুরে স্বাধীনতার এতোটা বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সে সময়ের অনেকে এখনও জীবিত আছেন। তাদের কয়েকজন জানান, ‘বঙ্গবন্ধু এসেছিলেন পানসিতে করে। তিনি আসার খবর শুনে বাটি ভরে রান্না করা তরকারি নিয়ে হাজির হয়েছিলাম আমরা। কই, বোয়াল, রুই, কাতল, চিংড়িসহ হরেক রকমের মাছের তরকারি পাঠিয়েছিল।’

এলাকাবাসী বলেন, ‘যে গ্রামে বঙ্গবন্ধুর পা পড়েছে, সেগ্রামে এখনও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। আমাদের দাবি গ্রামটি বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণ করা হোক।’

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি সংরক্ষণে উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। জানতে চাইলে সিংড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান কামরান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি সংরক্ষণে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক অব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরে দীর্ঘদিন আমরা এ আসনে জয়লাভ করতে না পারায় সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও স্মৃতি সংরক্ষণ করতে পারিনি।’

গ্রামটির উন্নয়নে উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহম্মদ শাহরিয়াজ। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এই গ্রামটিতে অনেক বেশি ভালবাসতেন। অনেকবার তিনি এই গ্রামে এসেছিলেন। জাতির পিতার নামে গ্রামটির নামকরণে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে আবেদন জানাবো। 

এআই//এমবি