ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নীলা হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ০৪:১৬ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ শনিবার

সাভারে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী নীলা রায়ের (১৪) হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। 

আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের সাভারের গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নীলা হত্যাকারীদের দ্রুত ফাঁসির দাবিতে ২৬টি সামাজিক সংগঠন আয়োজিত এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে এ প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।  

ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘সকল হত্যাকাণ্ডই সরকারের জন্য বিব্রতকর, হত্যাকারীদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষ হত্যা করে ঘাতকরা সাভার ও আশুলিয়া নিরাপদ ভেবে ফেলে যায়।’

এ সময় সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীবসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেয়।  

এদিকে শিক্ষার্থী নীলা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটক প্রধান আসামি মিজানুর রহমান মিজানের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে সাভার মডেল থানার সামনে প্রেস ব্রিফিংয়ের এ তথ্য জানান ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার। 

এর আগে, শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে সাভারের রাজফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে মিজানকে গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতার মিজান সাভারের ব্যাংক কলোনী এলাকার হাজী আইয়ুব আলীর ছেলে। সে নীলা রায় হত্যার প্রধান আসামি। 

নিহত নীলা মানিকগঞ্জ জেলার বালিরটেক এলাকার নারায়ণ রায়ের মেয়ে। পৌর এলাকার কাজী মোকমাপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকতো তারা। স্থানীয় অ্যাসেড স্কুলে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল নীলা। 

সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, গত ২১ সেপ্টেম্বর রাতে নীলা রায় নামের এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে মিজানুর রহমান। পরে নীলার বাবা নারায়ণ রায় বাদী হয়ে মিজানকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও দুই থেকে ৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মিজানুর রহমানের বাবা আব্দুর রহমান ও নাজমুন্নাহারসহ তার এক সহযোগী সেলিম পালোয়ানকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 
সবশেষ গতকাল রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভারের রাজফুলবাড়িয়া থেকে মিজানকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সাথে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি, রক্ত মাখা জামা কাপড় এবং ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। মামলাটির তদন্ত চলায় আর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি এই পুলিশ অফিসার।  

এআই//এমবি