ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

প্রথম জয় পেতে সহজ লক্ষ্য কলকাতার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৩৭ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ শনিবার | আপডেট: ১০:৩৮ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ শনিবার

প্যাট কামিন্সকে ঘিরে সতীর্থদের উল্লাস

প্যাট কামিন্সকে ঘিরে সতীর্থদের উল্লাস

আইপিএলের শুরুটা একদমই ভাল হয়নি কলকাতা নাইট রাইডার্সের। প্রথম ম্যাচে এক রোহিতের কাছেই ম্যাচ হারতে হয় দীনেশ কার্তিকের দলকে। দল হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে ব্যর্থ হয় কলকাতা। তবে আজ নিজেদের চেনা ছন্দে ফিরেছে কেকেআর। প্রথম জয়ের জন্য পেয়েছে সহজ লক্ষ্যও।

সেদিন মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে বল হাতে ফ্লপ হলেও আজ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দারুণ ছন্দে ধরা দেন সাড়ে পনেরো কোটির প্যাট কামিন্স। হায়দরাবাদের বিস্ফোরক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারকে হাত খুলতেই দেননি এই অজি পেসার। বারবার ঝামেলায় ফেলেন আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে। ওয়ার্নার-বেয়ারস্টো শুরু থেকে রুদ্র মূর্তি ধরতে না পারায় ঝড় তুলতে পারেনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদও।  

এদিন শুরু থেকে রানের গতি না বাড়ায় ২০ ওভারে হায়দরাবাদ করতে পারলো ৪ উইকেটে ১৪২ রান। সাত জন বোলারকে এ দিন ব্যবহার করেন কলকাতা অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। কলকাতার বোলারদের দাপটে দেড়শো রানও করতে পারল না হায়দরাবাদ। 

জবাবে ব্যাট করতে নেমে খালিল আহমেদের বলে আউট হন সুনীল নারাইন। খাতা খুলতে পারেননি তিনি। যাতে মাত্র ৬ রানেই উইকেট হারায় কলকাতা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৬ ওভারে তাদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫১ রান।  

শনিবার আবুধাবিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট নেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক ওয়ার্নার। কলকাতার হয়ে বোলিং ওপেন করেন সুনীল নারাইন। তাঁর প্রথম ওভারে আসে ছয় রান। দ্বিতীয় ওভারে প্যাট কামিন্স দেন তিন রান। ২ ওভারের শেষে হায়দরাবাদের রান ছিল বিনা উইকেটে আট। তৃতীয় ওভারে খোলস ছেড়ে বেরনোর চেষ্টা করেন ওয়ার্নার। নারিনের ওভার থেকে তিনি নেন ১৪ রান। চতুর্থ ওভারটা দারুণ করেন প্যাট কামিন্স।এমন জায়গায় বল রাখছিলেন যে বেয়ারস্টো বা ওয়ার্নারের পক্ষে জায়গা তৈরি করে শট মারা সম্ভব হয়নি। ওভারের শেষ বলে বেয়ারস্টোকে বোল্ড করেন কামিন্স।

কলকাতার মিস্ট্রিয়াস স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীকে এ দিন প্রথম একাদশে নেওয়া হয়। বল হাতে নজর কাড়েন তিনি। বিপজ্জনক ওয়ার্নারকে ৩০ বলে ৩৬ রানে আউট করেন বরুণ। ক্যারম বলের গ্রিপে বলটা করেছিলেন বরুণ। অভিজ্ঞ ওয়ার্নার বলের গতি বুঝতে না পেরে আগেই ব্যাট চালিয়ে দেন। সময়ের গোলমালে বরুণের হাতেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অজি ওপেনার। 

অন্যান্য দলগুলোর মিডল অর্ডারে মারকুটে ব্যাটসম্যান রয়েছে। হাযদরাবাদে নেই সেই ধরনের ব্যাটসম্যান। দুই ওপেনার আউট হওয়ার পরে মণীশ পাণ্ডে ও ঋদ্ধিমান সাহা ইনিংস গোছানোর কাজ করেন। রাসেলের ফুলটসে আউট হন মণীশ পাণ্ডে। তার আগে ৩৮ বলে ৫১ রান করে যান তিনি। ঋদ্ধির সঙ্গে ৬২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তিনি।শেষের দিকে রানের গতি বাড়াতে পারেননি ঋদ্ধিমান সাহাও। তিনি রান আউট হন ৩০ রানে। 

কলকাতা ও হায়দরাবাদের প্রথম একাদশে এ দিন একাধিক পরিবর্তন আনা হয়। মহম্মদ নবিকে প্রথম একাদশে রেখে মাঠে নেমেছে হায়দরাবাদ। বিজয় শঙ্করের বদলে ঋদ্ধিমান সাহা দলে এসেছেন। সন্দীপ শর্মার বদলে খলিল আহমেদকে নিয়েছে হায়দরাবাদ। অন্য দিকে, কেকেআর-এর প্রথম একাদশে বরুণ চক্রবর্তী ছাড়া জায়গা পেয়েছেন কমলেশ নাগারকোটি।আগের ম্যাচের দল থেকে বাদ পড়েছেন নিখিল নায়েক ও সন্দীপ ওয়ারিয়র।

এনএস/