ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

আমাদের কন্যাদ্বয়- আমার গর্ব, আমার অহংকার

সেলিম জাহান

প্রকাশিত : ০৭:০৫ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ রবিবার

আজ ‘বিশ্ব কন্যা দিবস’। বড় মায়া আর মমতার সঙ্গে, এক বুক গর্ব ও অহংকারের সঙ্গে আমি আজ তাঁদের নতুন করে স্মরণ করি, আদর করি, ভালোবাসি। আমাদের দু’কন্যার কারণে আমি শুধু পিতাই হইনি, তারা আমাকে পিতা হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে জীবনের প্রতিটি পদে। তার চেয়েও বড় কথা- প্রতিদিনই একটু একটু করে তারা আমাকে উন্নততর মানুষে রূপান্তরিত করেছে।

পিতা হিসেবে জীবনের বহু শিক্ষা তো তাদের কাছেই। তাদের প্রতিদিনের আদরে ভালবাসায় মায়া-মমতার বহু কিছু তারা আমাকে শিখিয়েছে। আমার সঙ্গে বন্ধুর মতো ব্যবহার করে তারা আমার পিতৃত্বকে একটি সৌহার্দ্যের ব্যঞ্জনা দিয়েছে।
 
সন্তানের প্রতি শ্রদ্ধা, তাদের প্রতি সংবেদনশীলতা, তাদের শর্তহীনভাবে ভালোবাসার বহু শিক্ষা তাদের সঙ্গে নিত্যদিনের ব্যবহারেই তো শিখেছি। বলার অপেক্ষা রাখে না- এ সব কিছুই আমাকে জীবনের বৃহত্তর অঙ্গনে অন্যদের সঙ্গেও একটা অর্থপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে সাহায্য করেছে।

পরিবার ও সমাজে নারী-পুরুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নানান করণীয় বিষয়াবলী তারাই আমাকে ওয়াকিবহাল করেছে। সমাজ বিজ্ঞানের নানান বিষয়ে পড়াশোনা এবং পরবর্তী জীবনে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে ও অঙ্গনে কাজ করার জন্যে এ সব বিষয়ের নানান দিক সম্পর্কে তাদের জ্ঞান সুপ্রোথিত। 

লেখকের দুই কন্যা

জীবনের নানান ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতা, নারীকে সম্মান, নারীর প্রতি সংবেদনশীলতা ইত্যাদি নানা বিষয়ে আমার মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গী গড়ার ব্যাপারে তারা বিভিন্নভাবে আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। এখনও বহু বিষয়ে আমরা প্রায়শ:ই বিতর্কে মাতি।

এবারের ‘কন্যা দিবসে’ তাই আমার বিশেষ কৃতজ্ঞতা আমাদের দু’কন্যার প্রতি - তারা শুধু আমাদের কন্যা বলে নয়, তারা অনিন্দ্য সুন্দর দু’জন মানুষ বলে। জীবন ও জগত থেকে নিয়েছি অনেক, কিন্তু দিতে পারিনি তেমন কিছুই- শুধু একটি ব্যতিক্রম ভিন্ন। সেই ব্যতিক্রম আমাদের দু’কন্যা। পৃথিবীকে আমরা দু’জন অসাধারণ ভালো মানুষ উপহার দিয়েছি। অর্জন হিসেবে সেটাই বা কম কিসে?

এনএস/