ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

চাঁদের বুকে পা রাখবেন প্রথম কোন নারী 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৩৫ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ সোমবার

নভোচারী হবার জন্য স্নাতক পর্যায়ে যারা সফলভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেছেন তাদের মধ্যে ছয়জন নারী আছেন

নভোচারী হবার জন্য স্নাতক পর্যায়ে যারা সফলভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেছেন তাদের মধ্যে ছয়জন নারী আছেন

ক্যাপশন : নভোচারী হবার জন্য স্নাতক পর্যায়ে যারা সফলভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেছেন তাদের মধ্যে ছয়জন নারী আছেনআমেরিকান মহাকাশ সংস্থা নাসা চাঁদে আবার মানুষ নিয়ে যাবার জন্য তাদের পরিকল্পনার বিশদ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে। দুই হাজার ৮০০ কোটি ডলারের (২৮ বিলিয়ন ডলার) এই প্রকল্পে ২০২৪ সালের মধ্যে আবার চাঁদে ফেরত যাবার পরিকল্পনা দেয়া হয়েছে। এই মিশনের অংশ হিসাবে এই প্রথমবারের মত একজন নারী চাঁদের বুকে পা রাখবেন। খবর বিবিসি’র

নাসার এই প্রকল্পের নাম দেয়া হয়েছে আর্টেমিস। ১৯৭২ সালে চাঁদের বুকে মানুষের প্রথম অবতরণের পর এবার এই প্রকল্পে নাসা একজন পুরুষ এবং একজন নারীকে চাঁদে পাঠাবে।

তবে নাসা বলছে, তারা যে পরিকল্পিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে তা ঠিক রাখতে হলে কংগ্রেসকে ৩২০ কোটি ডলারের তহবিল সময়মত তাদেরকে দিতে হবে, কারণ নির্ধারিত সময়ে চাঁদের বুকে নামতে হলে তাদের সময়মত একটা অবতরণ ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।

নভোচারীরা অ্যাপোলোর মত একটি ক্যাপসুলে ভ্রমণ করবেন, যেটির নাম দেয়া হয়েছে ওরিয়ন। এসএলএস নামে একটি রকেট এটি উৎক্ষেপণ করবে।

সোমবার নাসার একজন প্রশাসক জিম ব্রাইডেনস্টাইন বলেন, ‘চাঁদের বুকে আর্টেমিস অবতরণের জন্য আগামী চার বছরে নাসার ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮ বিলিয়ন ডলার। এই আর্টেমিস প্রকল্পের বাজেটের মধ্যে যেসব খরচ ধরা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে এসএলএস উৎক্ষেপণের খরচ, ওরিয়ন বাবদ সব ব্যয়, এছাড়াও চাঁদে মানুষের নামার খরচ এবং নভোচারীদের মহাকাশ স্যুটের জন্য যাবতীয় খরচ।’

চাঁদে যাওয়া প্রথম নারী হবেন কে?
ব্রাইডেনস্টাইন বলেন, ২০২৪ সালে চাঁদের বুকে প্রথম পদচারণা করবেন যে নারী তিনি হবেন এমন একজন যার মহাকাশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আছে। যিনি ইতোমধ্যেই কোন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গেছেন। তিনি আরও বলেন, নভোচারী গোষ্ঠীর মধ্যে থেকেই কাউকে এই মিশনের জন্য বেছে নেয়া হবে।

এরপর সাক্ষাৎকার নেয়া হয়, এ সময় ১২ জন নারী নভোচারীর নাম সামনে এসেছিল। আরও পাঁচজন নারী নভোচারী নাসার তালিকাভুক্ত হয়েছেন। প্রশিক্ষণ শেষ করে তারা নাসায় যোগ দিয়েছেন। তবে যোগ্যতার জন্য যেসব মাপকাঠি নির্ধারণ করা হয়েছে, আগামী চার বছরের মধ্যে সেগুলো অর্জন করে মিশনের জন্য তারা তৈরি হতে পারবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।

আর্টেমিসের জন্য নভোচারী নির্বাচনের সময়সূচি জানতে চাওয়া হলে নাসার প্রধান বলেছেন, প্রথম মিশনটি পাঠানোর অন্তত দুই বছর আগে তারা নভোচারীদের দলটি নির্বাচন করতে চান।

তিনি আরও বলেন, ‘আর্টেমিসে নভোচারী হিসাবে কারা যাবেন সেটা নির্বাচনের প্রক্রিয়া তাড়াতাড়ি শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণে এটা অনুপ্রেরণা হিসাবেও কাজ করবে বলে আমি মনে করি।’

হোয়াইট হাউসও চাঁদে আবার নভোচারী পাঠাতে আগ্রহী, কারণ আমেরিকা চায় মহাকাশ চারণায় তাদের নেতৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে।

৪৮ বছর আগে অ্যাপোলো-১৭ চাঁদে অবতরণ করার পর এটাই হবে আমেরিকার চন্দ্র মিশন, যেখানে নভোচারীরা আবার চাঁদের বুকে পা রাখবেন। 

এ জন্য নাসা বেশ কিছু সংস্থাকে অবতরণ যানের নকশা তৈরির কাজ দিয়েছে।

এএইচ/এমবি