ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

বশেমুরবিপ্রবিতে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে হচ্ছে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল

বশেমুরবিপ্রবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০৩:২৭ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ সোমবার

সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশমুরবিপ্রবি)। 

মুজিববর্ষকে সামনে রেখে আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই ম্যুরাল নির্মাণের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ কিউ এম মাহবুব বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আরও আগেই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে মুজিববর্ষে ম্যুরাল উদ্বোধন করা উচিত ছিল। যেহেতু সেটা করা সম্ভব হয়নি, আমরা চেষ্টা করবো আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই ম্যুরালের নির্মাণ কাজ শুরু করতে।

এর আগে সাবেক ভিসি খন্দকার নাসিরউদ্দিনের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের কোনো ধরনের নির্মাণ কাজ শুরু না করেই দীর্ঘদিন যাবত নির্মাণাধীন দেখানো হয়েছিল। এমনকি কাগজে-কলমে নির্মাণ কাজের অগ্রগতি দেখানো হয়েছিল ১৬.১৯% এবং ব্যয় দেখানো হয়েছিল আড়াই কোটি টাকা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও ওয়ার্কস দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে অনুমোদনপ্রাপ্ত বশেমুরবিপ্রবি অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের জন্য বরাদ্দ ছিল দুই কোটি ৫০ লাখ টাকা। ২৪০ বর্গমিটার জায়গায় ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে ম্যুরালটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল। কিন্তু ২০১৭ সাল পর্যন্ত ম্যুরালটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি।

পরবর্তীতে কয়েক দফায় বশেমুরবিপ্রবি অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় এবং ২০১৮ সালে প্রকল্পটির বাজেট রিভাইজড করা হয়। রিভাইজড বাজেটে ২৪০ বর্গমিটার স্থানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ১৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে এরপর প্রায় দুই বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত ম্যুরাল কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি।

ম্যুরাল নির্মাণ কাজে দেরি হওয়ার বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণের জন্য ট্রাস্টি বোর্ডের অনুমতির প্রয়োজন হয়। আমরা ট্রাস্টি বোর্ডের নিকট অনুমতির জন্য আবেদন করেছি। করোনার কারণে বর্তমানে বোর্ডের মিটিং খুব কম হচ্ছে। অনুমতি পেলেই আমরা ম্যুরাল নির্মাণের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করবো।

এদিকে এ বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলেন, জাতির পিতার নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ে এতোদিন যাবত তার ম্যুরাল না থাকা দুঃখজনক ও হতাশাজনক। আমরা চাই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণসহ বাকি যেসব প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তা খুব দ্রুতই সম্পন্ন হোক এবং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে যাক।

এএইচ/এমবি