ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

বাড়ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৪৬ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ মঙ্গলবার

দিন দিন বাড়ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার সংখ্যা। আইন হওয়ার পর গেল দুই বছরে ১ হাজারেরও বেশি মামলা হয়েছে। এর বেশিরভাগই ২৫ ও ২৯ ধারায়, ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও মানহানির অভিযোগ। তবে প্রমাণ ও সত্যতা না থাকায় খারিজ হয়ে যাচ্ছে অনেক মামলা। আর তাই মামলা গ্রহণে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আদালতকে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিলেন আইনমন্ত্রী। 

বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের শিক্ষার্থী লামিয়া ফাইজার মতো অনেকেই এভাবে হয়রানির মুখোমুখি হচ্ছেন। এসব অপরাধ রোধে হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে কটূক্তি, ব্যক্তিগত পর্যায়ে নানা ধরনের হুমকি-ধামকি ও মানহানির ঘটনায় হচ্ছে মামলা। এসব মামলায় গ্রেফতারও হয়েছেন অনেকে।

চলতি বছর প্রথম দুই মাসে ১৬৫ মামলায় ৩৩৯ জন গ্রেফতার এবং ২০১৯ সোলে ৭৩২ মামলায় ১১৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া গেল দুই বছরে গণমাধ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে ৫০ মামলায় ৩৭ সংবাদকর্মী গ্রেফতার হন। 

পূর্বের আইসিটি এবং বর্তমান ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট মামলার বিচার হচ্ছে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে। ২০১৩ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা এসেছে প্রায় প্রায় ২৪শ’। এর মধ্যে ২০১৩ সালে ৩টি, ২০১৪তে ৩৩টি, ২০১৫তে ১৫২টি, ২০১৬তে ২৩৩টি, ২০১৭তে ৫৬৮টি, ২০১৮তে ৬৭৬টি।

গত সাড়ে ৭ বছরে নিষ্পত্তি হওয়া প্রায় ১ হাজার মামলার মধ্যে সাড়ে ৪শ’ মামলা নিষ্পত্তি হয় চূড়ান্ত প্রতিবেদনের মধ্য দিয়ে। তবে বহু মামলায় অভিযোগ গঠনের উপাদান না থাকায় অব্যাহতি পেয়েছেন আসামীরা। আইনমন্ত্রী বলছেন, মামলা করা সবার সাংবিধানিক অধিকার।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, মামলা করার স্বাধীনতা আছে। জনগণ যদি ক্ষুব্ধ হয় তাকে মামলা থেকে বিরত করতে আমি পারবো না, বা কেউই পারবে না। আইনের শাসনের এটা বলে না।

তবে কেউ যাতে অযথা হয়রানিতে না পড়ে সেটি খেয়াল রাখার আহ্বান মন্ত্রীর। 

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এই রকম মামলার তদন্ত সুষ্ঠু হয় এবং এই রকম মামলা অত্যন্ত পুঙ্খানু পুঙ্খানো রূপে দেখে আদালত এটাকে বিবেচনা করে। যেখানেই দেখে যে ত্রুটি আছে সঙ্গে সঙ্গে তা খারিজ করে দেয়। আদালতকেও এই মামলা গ্রহণ করার ব্যাপারে কিছুটা সতর্কতা দেখাতে হবে। তার কারণ এই যদি পরিসংখ্যান হয় তাহলে মানুষ যাতে হয়রানীর শিকার না হয় সেটার একটা ব্যবস্থা করতে হবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সতর্ক না হলে মামলার সংখ্যা কমবে না বলেই মনে করছে আইন মন্ত্রণালয়। 

এএইচ/এমবি