ঢাকা, বুধবার   ০৮ মে ২০২৪,   বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

রফতানিতে জোর দিলেও আলু চাষীর জন্য নেই কোন সুখবর

প্রকাশিত : ০৮:৫৫ এএম, ৮ মে ২০১৭ সোমবার | আপডেট: ০৯:৪০ এএম, ৮ মে ২০১৭ সোমবার

২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ গড়তে রফতানিতে জোর দিলেও আলু চাষীর জন্য নেই কোন সুখবর। সবজির পাশাপাশি আলুর প্রণোদনা ২০ শতাংশ হলেও এ বছর অর্ধেকে নেমেছে আলুর সহায়তা। কেন কী কারণে সম্ভাবনার এ ফসলে নামানো হলো ধস, তার ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।
আলু রফতানিতে এক সময় সম্ভাবনাময় দেশ ছিল নেপাল। কিন্তু সরকারের ভূল নীতির কারণে নেপালের বাজার এখন ভারতের দখলে।  
আলু উৎপাদনের দিক থেকে বিশ্বে সপ্তম স্থানে বাংলাদেশ। অথচ সুদূরপ্রসারী রফতানি নীতি না থাকায় প্রতি বছর ১০ থেকে ১২ লাখ মেট্রিক টন আলু পচে-গলে নষ্ট হয়। রফতানিতে ধাক্কা খাওয়ায় এ বছর আলু উদ্বৃত্ত থাকবে ১৫ থেকে ১৬ লাখ মেট্রিক টন। যার বেশিরভাগই পচে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো- ইপিবি’র হিসেব বলছে, ২০১১-১২ সাল থেকে রফতানি সুবিধার কারণে আলুর উৎপাদন যেমন দ্বিগুণ বেড়েছে তেমনি দু’বছরের ব্যবধানে আয় বেড়েছে ৩২২.২২ লাখ মার্কিন ডলার।
ইপিবি বলছে, ১৯৯৫-৯৬ সালে শুধু সবজিতে প্রণোদনা থাকলেও ২০০৫-০৬ অর্থ বছর থেকে শুরু হয় আলু রফতানিতে নগদ সহায়তা। ২০১৫-১৬ পর্যন্ত সবজির চেয়ে তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পায় আলুর আন্তর্জাতিক বাজার। বদলে যায় মাঠের চেহারা, পাল্টে যেতে থাকে কৃষকের ভাগ্য। কিন্তু হঠাৎ বজ্রপাতের মতো সবজির প্রণোদনা ঠিক রেখে অর্ধেকে নামানো হয় আলুর নগদ সহায়তা।
এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত পরিহার করে সময়োপযোগী রফতানি নীতিমালা তৈরির দাবি জানিয়েছেন আলু ব্যবসায়ী ও মাঠের কৃষক।