ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

সরকারি খাল দখলমুক্ত করতে সরাইলে উচ্ছেদ অভিযান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫২ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ বুধবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সড়ক ও জনপথের খাল দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত উপজেলার সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের পাশে বড্ডা পাড়ায় ফয়সাল আহমেদ মৃধার বাড়ির সামনের জায়গায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।

সহকারি কমিশনারের কার্যালয় সূত্র জানা গেছে, সরাইলে অনেকেই সরকারি খাল দখল করে ভরাট করে দোকানপাট ও বাড়িঘর নির্মাণ করে ফেলেছেন। এতে করে দিনদিন পানি নিস্কাশনের সমস্যা প্রকট হচ্ছে।

উপজেলার কুট্টাপাড়ার মোড় থেকে কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধর্মতীর্থ এলাকা পর্যন্ত সড়কের দুপাশে সরকারি খাল ও সওজের জায়গার দখল করেছেন প্রভাবশালীরা। বুধবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালত বেকু নিয়ে ফয়সাল আহমেদের বাড়ির সামনে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।

এসময় ফয়সাল আহমেদ মৃধা অভিযোগ করে বলেন, বাড়ির মালিক তার স্ত্রী কানাডা প্রবাসী মেজর রোজিনা। তিনি বলেন, আমাকে কোন নোটিশ দেয়া হয়নি। কিছু বলাও হয়নি। হঠাৎ করে বেকু লাগিয়ে পাশের দেয়াল ভাঙা শুরু হয়। সুপারি কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফলজ গাছ কাটা হয়। আমার সংযোগ সড়কের অনুমতি থাকার পরও মাটি ওঠিয়ে বড় করে স্তুপ করা হয়। 

তিনি বলেন, আমার প্রতি অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযান শেষে যাওয়ার সময় এসিল্যান্ড আমাকে ১৫ দিনের মধ্যে সরকারি জায়গা থেকে সবকিছু সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে একটি পত্র দিয়ে গেছেন। 

এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, সরকারি খাল দখল করে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। তাই ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে খাল দখলমুক্ত করতে এই উচ্ছেদ অভিযান। কোন দখলকারীই এই অভিযানের বাইরে নয়। পর্যায়ক্রমে সকল সরকারি খাল দখলদারদের কবল থেকে মুক্ত করার অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কেআই//