ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বিশ্ব প্রবীণ দিবস আজ

গড় আয়ু বাড়লেও বাড়েনি কর্মকাল (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৩ এএম, ১ অক্টোবর ২০২০ বৃহস্পতিবার

আজ ১ অক্টোবর, ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস’। দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- ‘বৈশ্বিক মহামারির বার্তা, প্রবীণদের সেবায় নতুন মাত্রা’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এ দিবসটি পালিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

প্রতিবছরের মতো এবারও সমাজসেবা অধিদফত দিবসটি পালন করবে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন।

১৯৯০ সালে জাতিসংঘ প্রতিবছর ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রবীণদের সুরক্ষা এবং অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি বার্ধক্যের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ১৯৯১ সাল থেকে এ দিবসটি পালন শুরু হয়।

জাতিসংঘ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নাগরিকদের জন্য ৬০ বছর ও তদুর্ধ্ব এবং উন্নত দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য ৬৫ বছর ও তদুর্ধ্ব বয়সীদের প্রবীণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশে বাড়ছে প্রবীণ মানুষের সংখ্যা। গড় আয়ু বাড়লেও বেশির ভাগেরই বাড়েনি কার্যকর কর্মকাল। ফলে প্রবীণদের অনেককেই দীর্ঘ সময় বেকার থাকতে হয়। বিশেজ্ঞরা বলছেন, অবেহেলা নয়, প্রবীণের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে। তাই উন্নত দেশ ও জাতি গঠনে নবীনের শক্তির সাথে প্রবীণের অভিজ্ঞতার মিশেল চান তারা। 

যুদ্ধ, বিগ্রহ, দুর্ভিক্ষ কমে যাওয়াসহ নানা কারণে বেড়েছে মানুষের গড় আয়ু। তাই বিশ্বব্যাপীই বাড়ছে প্রবীণ জনগোষ্ঠির সংখ্যা। দেশে এখন ষাটোর্ধ্ব জনগোষ্ঠির সংখ্যা ৮ শতাংশ। এ বয়সে এসে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েন। 

জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিভাগের ওয়ার্ল্ড পপুলেশন এইজিং রিপোর্ট বলছে, ২০৩০ সালে দেশে ৬৫ বছরের বেশি মানুষের সংখ্যা হবে ১২ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ায় ৬৫-উর্ধ্ব প্রবীণ মানুষের হার সবচে বেশি শ্রীলঙ্কায় দশ দশমিক আট শতাংশ, ভারতে ছয় দশমিক চার এবং বাংলাদেশে পাঁচ দশমিক দুই।  

প্রবীণ বয়সে বিরাট একটা অংশ একাকিত্ব হওয়ার পাশাপাশি কর্মহীন হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় বয়স্ক ভাতার পরিমান ও পরিধি বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘৬০-এর উর্ধে যে মানুষগুলো তারা আসলে অনেকেই কর্ম থেকে বিরত থাকেন। এবং অন্যকোন অনানুষ্ঠানিক কাজের সঙ্গে হয়তো তারা যুক্ত থাকেন। কিন্তু ওই মানুষগুলোকে সরকার থেকে কোন একটা সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন পড়ে। কারণ তার স্বাস্থ্য একটা ঝুঁকির মধ্যে থাকে, আর্থিক একটা ঝুঁকি থাকে।’

অর্থনীতির চাকা ঠিক রাখতে কর্মক্ষম প্রবীণদের কাজে লাগানোরও পরামর্শ তার। প্রবীণদের অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করলে সফলতার হার বাড়বে বলেও জানান এই অধ্যাপক। 

তিনি আরও বলেন, ‘যারা প্রবীণ হচ্ছেন, অর্থাৎ ৫৯ এর পর যদি কারো স্বাস্থ্য ভালো থাকে তবে তারাও কিন্তু সম্পদ। তারা অর্থনীতির চাকা সচল করতে সহায়াক ভূমিকা পালনক করতে পারেন।’

এদিকে দেশে বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা বাড়লেও- তা বাংলাদেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতির সঙ্গে বেমানান। 

এসএ/