ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

বর্জ্যপানিতে করোনার জিনগত উপাদান (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৩৯ পিএম, ১ অক্টোবর ২০২০ বৃহস্পতিবার

করোনার জন্য দায়ী সার্স কোভ-টুয়ের জীনগত উপাদান দেশের বর্জ্যপানিতে পাওয়া গেছে। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় নর্দমা ও শৌচাগারের পানিতে ওআরএফ-ওয়ান এবি এবং ‘এন প্রোটিন’ জিনসহ করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে।

নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে স্থাপিত কোভিড আইসোলেশন কেন্দ্রের আশপাশের ড্রেন, নর্দমা, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও শৌচাগারের সঞ্চালন লাইনের পানির নমুনা সংগ্রহ করেন গবেষকরা। 

ওই পানির তলানি পরীক্ষা করে পাওয়া যায় ওআরএফ-ওয়ান এবি এবং ‘এন প্রোটিন’ জিনসহ করোনাভাইরাসের উপস্থিতি।

গবেষক দলের সদস্য আমিনুল ইসলাম জানান, বর্জ্যপানি একটি যন্ত্রচালিত ছাঁকনি মেশিনের সাহায্যে আগে ছেঁকে নেয়া হয়, তখন ময়লা নিচে চলে যায়। ওপরের পানি আলাদা করা হয়। ওই প্রক্রিয়ায় পানি আবার ছাঁকলে ভাইরাসগুলো সব নিচে চলে যায়। আরটিপিসিআর পদ্ধতি ব্যবহার করে ওই তলানি থেকে করোনা শনাক্ত করা হয়। 

বিজ্ঞানিরা বলছেন, বাংলাদেশে নর্দমা ও ড্রেনের পানিতে কোভ-টু আরএনএ সনাক্ত এটাই প্রথম। 

গবেষক দলের প্রধান ও নোবিপ্রবি মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান  ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, বর্জ্যপানির মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াচ্ছে, সেই বর্জ্যপানি আবার কোনও রোগীকে বা কোনও কমিউনিটিকে ইনভেক্ট করছে কি না তা দেখতে হবে। 

গবেষণা দলের সদস্য ও নোবিপ্রবি মাইক্রো বায়োলজি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, আইসোলেশন সেন্টারে ১০% রোগী থাকে বাকি ৯০% বিভিন্ন বাসায় থাকে। তাই এখন করোনার কারণে যে ওয়েস্ট হচ্ছে তার টোটাল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। 

দেশে ড্রেনের বা বর্জ্যপানিতে কোভিডের উপস্থিতি প্রমাণে গবেষকদের নতুন পদ্ধতিটি ভবিষ্যতে করোনা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। 

নোবিপ্রবি মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফয়সাল হোসেন বলেন, ওয়েস্ট ওয়াটারের প্রপার ট্রিটমেন্টা ইমপর্টেন্ট হয়ে দাঁড়াবে। আর এটার ট্রিটমেন্ট করতে পারলে আমাদের দেশে সংক্রমণ ছড়ানোর হার কমে আসবে।

নোবিপ্রবি গবেষণা দলের সদস্য মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, আমরা যদি হিউম্যান থেকে স্যাম্পলগুলো নেই তখন সরাসরি সেটা কিট দ্বারা টেস্ট করে ফেলি। কিন্তু এই ক্ষেত্রে যেহেতু পানিতে ভাইরাসটা ডাইরেক্ট অবস্থায় আছে, সেটাকে আমরা কনসেনট্রেশন করি।

তারা বলছেন, বর্জ্যপানি থেকে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।

এএইচ/এমবি