ঢাকা, রবিবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

নোয়াখালীতে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, আটক ৪

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৪৮ এএম, ৫ অক্টোবর ২০২০ সোমবার | আপডেট: ১১:১১ এএম, ৫ অক্টোবর ২০২০ সোমবার

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে যৌন নির্যাতন মামলায় এ পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

গেল ২ সেপ্টেম্বর বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে যৌন নির্যাতন করা হয়। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হলে গতকাল ৪ অক্টোবর নির্যাতিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামী করে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করেন। রাতেই ২ জনকে গ্রেফতার করে নোয়াখালী পুলিশ। পরে মামলার প্রধান আসামী বাদলকে ঢাকা এবং আরেক আসামী দেলোয়ারকে অস্ত্রসহ নারায়নগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

জানা গেছে, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের পূর্ব একলাশপুরে ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। স্থানীয় বখাটে একদল যুবক ওই নারীর বাবার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটায়। তারা ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ভিডিও চিত্র ধারণ করে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। পরে টাকা দিতে না পারায় ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় তারা। আর সেই ভিডিও ভাইরাল হলে এ নিয়ে শুরু হয় চাঞ্চল্য।

স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, চাহিদা অনুযায়ী টাকা না পেয়ে গতকাল বিকালের দিকে (ঘটনার ৩২ দিন পর) গৃহবধূকে নির্যাতনের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রকাশ করা হয়। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে তা ভাইরাল হয়ে যায়। যা দেখে টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। যদিও এ ঘটনা এতদিন অগোচরেই ছিল স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের।

গতকাল রোববার দিবাগত রাতে মামলার প্রধান আসামি বাদলকে ঢাকা থেকে এবং আরেক আসামি দেলোয়ারকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

এছাড়া স্থানীয় পুলিশ বাহিনী গতকাল রাতে আরও ২ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো-  মোঃ রহীম (২৭) ও আবদুর রহমান (৩০)। রহীম ও রহমান একলাশপুর ইউনিয়নের পূর্ব একলাশপুর গ্রামের বাসিন্দা।

এবিষয়ে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, ফেইসবুকে ভিডিওটি দেখার পরই আমরা ভিক্টিমকে তার আত্মীয়র বাসা থেকে উদ্ধার করি। এরপর তার তথ্য অনুযায়ী ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

যদিও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে একজন প্রধান আসামি।

স্থানীয়রা বলছে, গত মাসে (২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী নির্যাতিত গৃহবধু এতোদিন বখাটেদের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলো। 


এএইচ/এসএ/